ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজিৎ হত্যার নিন্দা ও খুনী গ্রেফতারের দাবি ইইউর

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অভিজিৎ হত্যার নিন্দা ও খুনী গ্রেফতারের দাবি ইইউর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌলবাদবিরোধী লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এদিকে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডকে নৃশংস আখ্যায়িত করে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। অভিজিৎ হত্যার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, খুনীরা সর্বোচ্চ দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। আহতদের সহায়তায় প্রথমে কেউ এগিয়ে আসেনি। সবাই এগিয়ে আসলে খুনীরা পালিয়ে যেতে পারত না। রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো বার্তায় এই বর্বরোচিত হত্যাকা-ের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়। লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সেলিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য নিয়েছে। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রি করেন। সেলিমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় হঠাৎ তিনি টিএসসি এলাকায় চিৎকার শুনতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। আরেক নারী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে অন্যের সাহায্য চাইছেন। কোট পরা আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী একজন ও সাদা শার্ট পরা আরেকজন দ্রুত দৌড়ে দু’দিকে পালাচ্ছে। আশপাশে অনেক লোক ও কাছেই পুলিশ সদস্যরা থাকলেও কেউ ভুক্তভোগীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। হামলাকারীরা এক থেকে দুই মিনিট সময় নিয়েছে। দ্রুতগতিতে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় কাছেই দাঁড়ানো সেলিম চিৎকার করে উঠলে হামলাকারীরা তাড়া করে এবং প্রাণভয়ে সেলিম সেখান থেকে দৌড়ে সরে যায় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে চায়ের দোকান রয়েছে মালেকের। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ চেঁচামেচি শুনে ডানে তাকাই। দেখি দৌড়াদৌড়ি করছে লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জন পড়ে থাকলেও প্রথমে কেউ এগিয়ে যায়নি। পুলিশ ছাড়া মানুষও আশপাশ এলাকায় গমগম করছিল। সবার সামনে এমন ঘটনায় কেউ গেল না, এটা বিশ্বাস হতে চায় না। এক নারী দৃশ্যটি দেখে অচেতন হয়ে পড়েন। অভিজিৎ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অধ্যাপক অজয় রায়ের বড় ছেলে। অভিজিতকে দেশে আসতে বারণ করেছিলেন বাবা। কিন্তু মূলত তিনি মায়ের টানে আসেন। এরপর দুটো বই মেলার বেরুবে সব মিলিয়ে তার দেশে আসা। কিন্তু এটাই যে তাঁর শেষ আসা হবে কে জানত? মর্মাহত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ॥ অভিজিতের হত্যাকাণ্ডকে নৃশংস আখ্যায়িত করে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। শুক্রবার এক টুইটে তিনি লিখেছেন, অভিজিৎ রায়ের নৃশংস হত্যাকা-ে আমি মর্মাহত যেমন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে সংঘটিত সব সহিংস ঘটনায় আঘাত পেয়েছি।
×