ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর

তিন খাতে ৬ হাজার ৩ কোটি টাকা দিচ্ছে ইইউ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তিন খাতে ৬ হাজার ৩ কোটি টাকা দিচ্ছে ইইউ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তিন খাতে বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৩ কোটি টাকা (৬৯০ মিলিয়ন ইউরো) অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মাল্টি এ্যানুয়েল ইন্ডিকেটিভ প্রোগ্রামের আওতায় সাত বছরে এ সহায়তা দেয়া হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার একটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মায়াদন নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইআরডির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে সম্পাদিত একটি বাণিজ্য সহায়তা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্প সহায়তার সূত্রপাত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট এবং ২০০০ সালে কো-অপারেশন এ্যগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা দিয়েছে। বর্তমান যে সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তা কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মায়াদন বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই সহায়তা ভূমিকা রাখবে। কেননা যে তিন খাতে আমরা সহায়তা দিচ্ছি সেগুলো দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেম ব্যাপক উন্নতি করেছে। গত কয়েক বছরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। দারিদ্র্য নিরসন ও সরকারের জবাবদিহিতাও বেড়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের প্রধান কাজ হলো ইউরোপীয় কমিশন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সুশাসন এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্পর্ক দৃঢ় করা। এরই অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের মাল্টি এ্যানুয়াল ইন্ডিকেটিভ প্রোগ্রাম (এমআইপি) ২০১৪-২০-এর আওতায় বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৬৯০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৬ হাজার ৩ কোটি টাকা) অনুদান হিসেবে প্রদান করবে। এই অর্থ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সুশাসন ব্যবস্থা খাতে ১০৩ থেকে ১৩৮ মিলিয়ন ইউরো, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা খাতে ২৭৬ থেকে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন খাতে ২৭৬ থেকে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে।
×