ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ৮১ ভাগ কোম্পানির দরপতন

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৮১ ভাগ কোম্পানির দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পুুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান-পতন দিয়ে লেনদেন চললেও মূলত বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বেড়ে যায়। রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই দিনটিতে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৮১ শতাংশ কোম্পানি দর হারিয়েছে। এছাড়া উভয় পুঁজিবাজারে কয়েক দিনের তুলনায় সূচকের বড়পতন হয়েছে। আতঙ্কে ভোগা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় কৌশলী বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ অল্প দামে শেয়ার কেনার সুযোগটি নিয়েছেন, যার কারণে দিনটিতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক কমেছে। তবে দরপতনের দিনে উভয় বাজারেই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বেশি বেড়েছে। এর বিপরীতে বহুজাতিক ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর দর কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির বা ১১.৬৯ শতাংশ, কমেছে ২৪৮টির বা ৮০.৫১ শতাংশ আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির বা ৭.৭৯ শতাংশ। আগের দিন লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ১১৮টির বা ৩৮.০৬ শতাংশ, কমে ১৪১টির বা ৪৫.৪৮ শতাংশ আর অপরিবর্তিত থাকে ৫১টির বা ১৬.৪৫ শতাংশ। বুধবার সকালে সূচকের উর্ধগতির লেনদেন শুরুর পর শেষ বিকেলে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি ৫৮.৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৪২ পয়েন্টে। সেখানে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সেখানে মোট ৩০৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। দরপতনের দিনে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এমজেএলবিডির শেয়ার। দিনভর এ কোম্পানির ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৮টি শেয়ার ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এছাড়া স্কয়ার ফার্মার ১৬ কোটি ৮৯ লাখ, লাফার্জ সুরমার ১৬ কোটি ৮৯ লাখ, এসিআইয়ের ১২ কোটি ৫১ লাখ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ১২ কোটি ২৮ লাখ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৯ কোটি ৭ লাখ, সিঙ্গার বিডির ৮ কোটি ৫৭ লাখ, আমরা টেকনোলজিসের ৭ কোটি ৩১ লাখ, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্টের ৭ কোটি ২৬ লাখ ও বেক্সিমকোর ৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই কমেছে। সেখানেও ঢাকার মতো বড়-ছোটসহ বেশিরভাগ কোম্পানিরই দর কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির বা ১৪.২৯ শতাংশ, কমেছে ১৮৬টির বা ৭৫.৯২ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির বা ৯.৮০ শতাংশ। দিনশেষে সিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮৮১৮-তে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছিল ৮ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে। ওই দিন সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসাবে বুধবার লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
×