ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্মারক বক্তৃতা

ড. আহমদ শরীফের আদর্শ মানুষ চিরকাল মনে রাখবে

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ড. আহমদ শরীফের আদর্শ মানুষ চিরকাল মনে রাখবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ মুক্ত চিন্তার চর্চা ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। নিজে যা চিন্তা করতেন তাই বলতেন। অন্যের বক্তব্য ধৈর্যসহকারে শুনতেন, যুক্তি ও তথ্য দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতেন। সকলের কাছে প্রিয় হওয়ার দুর্বলতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। চল্লিশের দশক থেকে নব্বইয়ের দশকের শেষ অবধি সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, দর্শন, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিরন্তর লিখেছেন। তাঁর কর্মজীবনের আদর্শ এদেশের মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের মিলনায়তনে আয়োজিত ড. আহমদ শরীফ স্মারক বক্তৃতা ও স্মারক পুরস্কার ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। এ বছর ড. আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান রাজনীতি-সংগঠক নূরুল হক মেহেদী এবং নারী শিক্ষা প্রসারে আত্মনিবেদিত ভাষা সংগ্রামী প্রতিভা মুৎসুদ্দি। স্থায়ী পুনর্বাসন সুবিধা পাননি বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ নুরুল ইসলামের পরিবার জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও স্থায়ী পুনর্বাসন সুবিধা পাননি পিলখানায় নিহত সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের পরিবার। বিডিআর কর্মকর্তা হয়েও বিডিআর বিদ্রোহের প্রতিবাদ করেছেন নুরুল ইসলাম। প্রতিদানে জীবন দিতে হয়েছে তাকে। ২০০৯ সালে অন্যদের মতো গণকবর থেকে তোলা হয়ে তার লাশও। দাফন করা হয় গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামে। তাকে ঘোষণা করা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের শহীদ। বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর সশস্ত্র জওয়ানদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে যান বিডিআর সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম। লোহার স্ট্যান্ড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ব্রাশ ফায়ার করে তাকে হত্যা করেছে বিডিআর বিদ্রোহীরা। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিডিআর সুবেদার মেজর। বিজিবির সর্বোচ্চ পদক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদকে ভূষিত করা হয় তাকে। তিনি জীবনে ডিজি পদক পেয়েছেন ৪ বার। সৎভাবে জীবনযাপন করে পরিবারের জন্য কোন অর্থ সম্পদ রেখে যাননি। চার সন্তানসহ তার পরিবার খুবই অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। অভাব-অনটনের সংসারে করুণ ও মানবেতর জীবনযাপন করে যাচ্ছেন নিহতের পরিবারটি। নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের শহীদদের পরিবার হিসেবে সরকারী ঘোষণা নগদ অর্থসহ অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। বিডিআর বিদ্রোহের ৫৮ শহীদের মধ্যে ৫৭ জন শহীদ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্থায়ী পুর্নবাসনের আওতায় আনা হয়েছে। মিরপুর ডিওএইচএস থেকে ৪ কাঠার প্লট দেয়া হয়েছে তাদেরকে। কিন্তু ডিওএইচএস-এ বিজিবি সদস্যদের জন্য আবাসনের সুযোগ না থাকায় আমাদেরকে প্লট দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্থায়ী পুনর্বাসনের আওতায় আমাদেরকে প্লট বরাদ্দের জন্য শহীদ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর কাযালয়ের পত্র, সরকার গঠিত বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার প্রেক্ষিতে রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত আবেদনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।
×