ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব

ফরিদপুরে ১০ গ্রামের বাসিন্দার মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫০ ॥ বাড়িতে আগুন, ভাংচুর লু

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফরিদপুরে ১০ গ্রামের বাসিন্দার মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫০ ॥ বাড়িতে আগুন, ভাংচুর লু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ ভাঙ্গায় অটোরিক্সা চলাচলের কর্তৃত্ব নিয়ে ১০ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় তিন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কমপক্ষে ২৫ বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৭৭ রাউন্ড গুলি ও ছয়টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ থামাতে ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ তলব করা হয়।জানা যায়, আলগী ইউনিয়নের গুণপালদী থেকে ভাঙ্গা উপজেলা শহরে যাতায়াতের জন্য একটি আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এ সড়কে অটোরিক্সা চলাচলের কর্তৃত্ব নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অটোচালকদের মধ্যে গত এক মাসে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়। রবিবার সকালে সোনাখোলা গ্রামের অটোচালক সবুজ গুণপালদী স্ট্যান্ডে গেলে তাকে সুয়াদী গ্রামের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে সকাল নয়টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সোনাখোলার পক্ষে গুণপালদী, নাওড়া, অপরপট্টি, কৈখালী, নলিয়া, বালিয়া, মাঝারদিয়া ও সুয়াদীর পক্ষে সুলনা ও চান্দ্রা গ্রামের হাজারখানেক লোক ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে নাওরা গ্রামের আইয়ুব মুন্সী ও হাসেম মুন্সীর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন অগ্নিসংযোগ করে। অপরদিকে সুয়াদী গ্রামের ফজলু মিয়ার বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন অগ্নিসংযোগ করে। আলগী ইউনিয়নের এক নম্বর ইউনিটের সদস্য মোঃ দেলোয়ার মাতুব্বরের সুয়াদী গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আনোয়ার মিয়া, বেলাল মাতুব্বর, হারুন মাতুব্বরের বাড়ি ও আকবরের কম্পিউটারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। আলগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাওড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুয়াদী গ্রামের লোকজন উচ্ছৃঙ্খল ও সন্ত্রাসী। তাদের হাতে আমরা কয়েক গ্রামের লোকজন জিম্মি। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের লোকজনকে বিনা কারণে মারধর করে। তারা আজকের সংঘর্ষে নাওড়া গ্রামের দু’টি বাড়ি অগ্নিসংযোগ, কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স ও আশেপাশের কয়েকটি থানা থেকে অতিরিক্ত ৪০ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ রাউন্ড গুলি ও ছয়টি কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
×