ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে সোনা আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল ॥ চোরাচালান কমার আশা

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভারতে সোনা আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল ॥ চোরাচালান কমার আশা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রতিবেশী দেশ ভারতে সোনা পাচারের একটি নিরাপদ রুট হচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতে এমনিতেই রয়েছে সোনার গহনার বিশাল বাজার। তার ওপর প্রতি বছর ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার বিদেশে রফতানি হয়। এজন্য ওই দেশটিতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সোনার চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ হয়ে পাচার হয়ে যাওয়ার স্বর্ণের মাধ্যমে। মূলত সোনা আমদানির ওপর কড়াকড়ির কারণেই দেশটিতে সোনা পাচারের নিরাপাদ রুট হয়ে উঠে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে ধরাপড়া সোনার বেশ কটি বড় চালান থেকে এ তথ্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। তাই সোনা আমদানি সহজ করতে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক কড়াকড়ি আরও শিথিল করেছে। এখন থেকে ব্যাঙ্কগুলো সোনার মুদ্রা বা গোল্ড কয়েন আমদানি করতে পারবে। ব্যাংক ছাড়া নির্দিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন বাণিজ্য সংস্থাও আমদানি করতে পারবে সোনা। তবে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, স্বর্ণমুদ্রা আমদানি করলেও তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা যাবে না। শুধু গয়না প্রস্তুতকারকদের কাছেই তা বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীদের ইঙ্গিত, এর ফলে বাজারে কমতে পারে সোনার দাম। আমদানি খাতে বিদেশী মুদ্রার খরচ কমাতে সোনা আমদানির ওপর প্রথম বিধিনিষেধ জারি করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। সরকারী নীতির সঙ্গে তাল রেখে আরবিআইও বিশেষ করে ব্যাংকের মাধ্যমে সোনা আমদানির ওপর নানা বিধিনিষেধ জারি করে। দীর্ঘদিন ধরেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। কারণ, এর ফলে কাঁচা সোনার পাশাপাশি গয়না ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়েছিলেন। এবার বিধিনিষেধ অনেকটাই ওঠার ফলে খুশি স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। অল ইন্ডিয়া জেম এ্যান্ড জুয়েলারি ফেডারেশনের পরিচালন পর্ষদের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরা বলেন, ‘বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় দেশে সোনার ব্যবসা এবার দ্রুত এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি চোরা পথে আমদানি বন্ধ হবে, ফলে সরকারের আয়ও বাড়বে।’ রিজার্ভ ব্যাংক অবশ্য মাস দুয়েক আগেই সোনা আমদানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। গত বছরের ২৮ নবেম্বর আমদানি করা সোনার ২০ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে রফতানির উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আইনটি তুলে নেয় রিজার্ভ ব্যাংক। এটি স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহলে ৮০ : ২০ প্রকল্প নামে পরিচিত। তবে এ ব্যাপারে নির্দেশিকা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। তা এবার কেটেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
×