ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

ব্যাংক খাতের চাহিদা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ব্যাংক খাতের চাহিদা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাতিষ্ঠানিক ও কৌশলী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার মাত্র এক সপ্তাহে সূচক ও লেনদেনের অগ্রগতির পরেই আবার দরপতনের ধারা ফিরে এসেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার জন্য পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকের দিনক্ষণ জানানোর পরে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর দর বাড়লেও গেল সপ্তাহে সার্বিকভাবে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের কোম্পানিগুলোরও প্রতি আগ্রহী হতে দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে সরকার বিরোধী হিংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারণে পুঁজিবাজারে এক ধরনের অস্থির আচরণ দেখা গেছে। এর মাঝেই এক শ্রেণীর কৌশলী বিনিয়োগকারী বাজারে শেয়ার কিনেছেন, তারা পুুঁজিবাজারে কিছুটা উর্ধগতির সুযোগে শেয়ার বিক্রির আদেশ বাড়িয়েছেন। অনেকেই আবারও নতুন করে পোর্টফলিও বা পত্রকোষ সাজাচ্ছেন, এর কারণেই বাজারে দ্রুত উত্থান-পতন অব্যাহত রয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উৎপাদনশীল জ্বালানি এবং শক্তি খাতের। পুরো সপ্তাহে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২০ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো। পুরো সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৩৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ ভাগ। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে মোট ৩২০টি কোম্পানির ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫২২টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়। এর বাজার দর ছিল ১ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টি, কমেছে ১৭৮টি ও অপরিবর্তিত ছিল ১২টি এবং ২টি কোম্পানির লেনদেন হয়নি। এ সময় আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮৮ পয়েন্টে। অন্যদিকে নির্বাচিত সূচক ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট কমে দঁঁঁঁাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো মধ্যে এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, আমরা টেকনোলজিস, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, অগ্নি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো : বঙ্গজ, আইসিবি এএমসিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, এসিআই বন্ড, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, সায়হাম কটন, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, হোটেল পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, রেকিট বেনকিজার ও গ্রীন ডেল্টা ইন্সু্যুরেন্স। অন্যদিকে দর হ্রাসের তালিকায় ছিল : বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, ১ম আইসিবি, কাসেম ড্রাইসেল, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, এ্যাপেক্স ট্যানারি, সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফার কেমিক্যাল। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট চারটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে। কোম্পানি চারটি হলো : লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ম্যাকসন্স স্পিনিং লিমিটেড।
×