ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এপার বাংলা-ওপার বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ, নির্মাণের নীতিমালা তৈরি করা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের পেশাগত মান উন্নয়নসহ নানা পরিকল্পনার খসড়া হাতে নিয়েছে দুই বাংলার চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। শনিবার দুপুরে বিএফডিসির প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এই খসড়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে দুই বাংলার শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান, সহসভাপতি ওমর সানি, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, সিমলা, জায়েদ খান প্রমুখ। ওপার বাংলার চলচ্চিত্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, অরিন্দম শীলসহ টালিগঞ্জের বেশ কয়েকজন শিল্পী ও কলাকুশলী। অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের জানান, দুই বাংলার চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যৌথ প্রযোজনাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রগুলোর নির্মাণ কোন প্রক্রিয়ায় হবে এবং শিল্পী ও কলাকুশলীদের কোন পদ্ধতি অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ করা হবে এসব বিষয়ে দুই বাংলার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। পরবর্তীতে এই কমিটির সুপারিশেই যৌথ প্রযোজনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে দুই বাংলার সরকার। ঢাকায় মুগ্ধ ভারতের সাংস্কৃতিক কর্মীরা : বাংলাদেশের মানুষ আতিথেয়তাপরায়ন। এখানে এলে বরাবরই মুগ্ধ হওয়ার মতো পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এবারও সেই অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী মুনমুন সেন, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, দেব, নির্মাতা গৌতম ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীসহ অন্যরা। বাংলাদেশ সফরে এসে তাঁরা আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার ভারতের সাংস্কৃতিককর্মীরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা বৈঠক করেন। এছাড়া বিকেলে বিএফডিসিতে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন তারা। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান তারা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন আসেন তারা। সেখান থেকে সরাসরি রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ওঠেন প্রসেনজিৎ ও দেবসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। হোটেলে পৌঁছে দেব ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসায় মুগ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাত্রই ঢাকায় পা রাখলাম। আহ, কী উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তা। এর তুলনা হয় না। সত্যিই এখানকার মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় নতজানু হয়ে যেতে চাইছে মন। অভিনেতা পরিচয়ের গ-ি ছাপিয়ে দেব এখন একজন সংসদ সদস্যও। ভারত-বাংলাদেশের পতাকাসংবলিত একটি স্মারক উপহার হিসেবে পেয়েছেন তিনি। সেটাও ফেসবুক পেজে দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এদিকে বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে নচিকেতা বলেন, বাংলাদেশকে আমার কখনই ভিন্ন দেশ মনে হয় না। আমি তো কয়েক দিন পরপরই বাংলাদেশে আসি। তাই এটাকে ঠিক রাষ্ট্রীয় সফর মনে হচ্ছে না। ঠিক যেন এক ঘর থেকে আরেক ঘরে এসেছি।’ বাংলাদেশে আসার অনুভূতি এভাবেই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে এবার বাংলাদেশে এসেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতেই এবারের সফর। আলোচিত তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে নচিকেতা বলেন, এটা রাজনীতিবিদরা আলোচনার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করে নেবেন। আমি গানের মানুষ। আমার কাছে দুই বাংলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। এপার বাংলায় এলেও নিজের বাড়িতেই আছি মনে হয়। আবার ওপার বাংলাতে থাকলেও নিজের বাড়ি মনে হয়।
×