ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যালয় ভবনে আগুন নাশকতার কারণে একুশের অনুষ্ঠান হয়নি পটুয়াখালীর স্কুলে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিদ্যালয় ভবনে আগুন নাশকতার কারণে একুশের অনুষ্ঠান হয়নি পটুয়াখালীর স্কুলে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া আবদুল হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা শহীদ মিনারের ওপর বড় বড় গাছ ফেলে রাখায় এবং বিদ্যালয়ের দোতলা ও ছাদে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচী বাতিল করে। এতে করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা নাশকতাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য ফুলের তোড়া নিয়ে বিদ্যালয়ের চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে যান। এ সময় তাঁরা শহীদ মিনারের বেদীর ওপর বড় বড় গাছের গুঁড়ি দেখতে পান। ঠিক একই সময় বিদ্যালয় ভবনের দোতলা এবং সিড়ির কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। প্রায় সারারাতের চেষ্টায় পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচ করে এলাকাবাসী ভোররাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আগুনের প্রচ- উত্তাপে বিদ্যালয় ভবনের বেশ কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বহু জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। এরপরই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একুশের সমস্ত কর্মসূচী বাতিল করে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক এজন্য স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ি করেছেন। তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াত নাশকতার মাধ্যমে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টিসহ দাঙ্গা-হাঙ্গামার সুস্পষ্ট লক্ষ্যে এসব কাজ করছে। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর দাবি, অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহতাব হোসেন জানান, বিদ্যালয় ভবনে আগুন এবং শহীদ মিনারে গাছ ফেলে রাখা দু’টি কাজই পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এ কারণে বিদ্যালয় চত্বরে পূর্ব নির্ধারিত একুশের কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন জানান, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আবেদীন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনই বলতে পারছেন না।
×