ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ রাসেল ৫- উত্তর বারিধারা

ফেড কাপে শেখ রাসেলের গোলবন্যা

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফেড কাপে শেখ রাসেলের গোলবন্যা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলমান ‘ফেডারেশন কাপ’-এ ‘বি’ গ্রুপের খেলায় তারা উত্তর বারিধারা ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করে (এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গোলে জয়ের রেকর্ড)। দলের পক্ষে জোড়া গোল করেন জাহিদ হাসান এমিলি ও কিংসলে চিগুজি। অপর গোলটি করেন পল এমিল। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে রিক্ত হস্তে বিদায় নিল বারিধারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ৪-০ গোলে পরাভূত হয়েছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই ভেন্যুতে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা-রাসেল ম্যাচে ফয়সালা হবে কোন দলটি হচ্ছে গ্রুপ সেরা। জিতলেও দুই চোটগ্রস্ত এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস (বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচের আগে আহত) ও ডিফেন্ডার রেজাউল রেজাকে (প্র্যাকটিসে হাল্কা চোট) ছাড়াই খেলে ‘অল ব্লুজ’ খ্যাত রাসেল। সার্বিয়ান কোচ ড্রাগান ডুকানোভিচ দলকে পছন্দের ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলান। প্রথম গোল পেতে ২৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় রাসেলকে। অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরীর থ্রুকে কাজে লাগিয়ে রাসেলের ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগুজির শট বারিধারার জালে প্রবেশ করে (১-০)। ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অপর ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি (২-০)। ৩৫ মিনিটে তপুর ক্রস থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন এমিলি (৩-০)। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলবন্যা অব্যাহত রাখে রাসেল। ৫৩ মিনিটে গোল করেন ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড পল এমিল (২৭ বছর বয়সী পল হচ্ছেন এ মৌসুমে রাসেলের চতুর্থ বিদেশী খেলোয়ার। ক্যামেরুন জাতীয় দলের হয়ে ৪ ম্যাচে ১ গোল করেছেন। এছাড়া খেলেছেন ক্যামেরুন জাতীয় যুবদলের হয়েও। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ক্যামেরুনের টোনেরে ইয়াওন্ডি, আলজিরিয়ার এ্যানো চেল্ফ, এনএ হুসেন দে, মিসরের হারাস এল- হদুদ এবং ভিয়েতনামের সং লাম এনজের হয়ে। আফ্রিকান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লীগে একবার সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়েছেন। এ মৌসুমের শুরুতে ভারতের ক্লাব মোহনবাগানের শর্টলিস্টে থাকলেও মোহনবাগান তাকে নেয়নি) এবং ৮৮ মিনিটে কিংসলে চিগুজি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শেখ রাসেলের সহকারী কোচ জায়েদুর রহমান মিলন বলেছিলেন, ‘আমাদের দলের ১২ খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলে। সম্প্রতি আমরা উজবেকিস্তান গিয়ে এএফসি কাপের বাছাইপর্ব (দ্বিতীয় রাউন্ড) খেলে এসেছি। হারলেও আমরা ভাল খেলেছি। খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি ও ফিজিক্যাল ফিটনেস ভাল পর্যায়েই আছে।’ মিলনের কথার সে স্বাক্ষরই বৃহস্পতিবার রাখল মিঠুন-এমিলিরা।
×