ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মরিপুরে ছুরকিাহত পরীর্ক্ষাথী তুষার মারা গছেে

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মরিপুরে ছুরকিাহত পরীর্ক্ষাথী তুষার মারা গছেে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার রাতে রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান তুষার অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল। এ ঘটনায় পুলিশ ও ডিবির তরফ থেকে ৬-৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এছাড়া মঙ্গলবার গৃহকর্মী টুনিকে নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী গ্রেফতারের আলোচিত ঘটনায় গৃহকর্ত্রী সারিজা জামানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার সিএমএম আদালত। আজ আদালতে নির্যাতিত গৃহকর্মী টুনির জবানবন্দী রেকর্ড করার কথা রয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন তুষার মারা যায়। নিহত তুষারের বাবা মতিউর রহমান ও মা শারমীন আক্তার খুকির দাবি, শাহআলী থানাধীন দক্ষিণ বিশিলের ডি ব্লকের ৯ নম্বর রোডে রাতে ডেকে নিয়ে ফাহিম, অশ্রু, পলাশ ও সজীব নামে কয়েক বন্ধু তুষারকে ছুরিকাঘাত করে। এ বিষয়ে শাহআলী থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন মতিউর রহমান। ঘটনার রাতেই শাহআলী থানার ওসি জনকণ্ঠকে জানিয়েছিলেন, ক্রিকেট খেলার সূত্র ধরে তুষারকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহআলী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, খেলাধুলা ছাড়াও সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে সম্মান করা না করা নিয়ে ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত রবিবার সামান্য মারামারি হয়। সেই মারামারির সূত্র ধরে সৃষ্ট রেশারেশি মেটানোর কথা বলে সোমবার রাতে তুষারকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে মাঠে নিয়ে তুষারকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে আজ আদালতে আবেদন করা হচ্ছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মঙ্গলবার লালবাগে আট বছর বয়সী গৃহকর্মী টুনি নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত গৃহকর্ত্রী সারিজা জামানের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ নির্যাতিত টুনির আদালতে জবানবন্দী দেয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবিদা সুলতানা জনকণ্ঠকে জানান, টুনিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টুনিকে না রেখে ফেরত দেয়। টুনিকে তারা পুলিশ হেফাজতে রাখে। বুধবার আদালতে টুনির জবানবন্দী রেকর্ড করার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা হয়নি। আইনী প্রক্রিয়া শেষে টুনিকে তেজগাঁও থানাধীন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হবে। কারণ টুনি শুধু তার বাড়ি নেত্রকোনায় বলতে পারে। পিতার নাম সালাম মিয়া। দুই বছর ধরে শহীদনগরে সারিজার বাসায় সে কাজ করছিল। টুনির পিতা ময়মনসিংহে একটি ইটভাঁটিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে অনেক আগেই তিনি চলে গেছেন। টুনির পিতামাতার সঠিক হদিস করতে না পাওয়ায় টুনিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হচ্ছে। সঠিক নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর টুনিকে পিতামাতা বা যথাযথ ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
×