ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের তাঁতিরা লোকসানের মুখে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

টাঙ্গাইলের তাঁতিরা লোকসানের মুখে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ ‘নদী-নালা খাল-বিল গজারীর বন, টাঙ্গাইলের শাড়ি তার গর্বের ধন’। বিএনপি-জামায়াত জোটের একটানা হরতাল-অবরোধের কারণে টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। চরম আর্থিক সঙ্কট ও হতাশায় ভুগছেন তাঁতিরা। সুতার দাম বৃদ্ধি, কারিগর ও মহাজনদের মধ্যে লভ্যাংশের অসম বণ্টন আর কারিগরের অভাবে তাঁতশিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গত কয়েক বছরে সুতার দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সম্প্রতি টানা হরতাল-অবরোধের কারণে সুতার সরবরাহ কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বহু তাঁত। সুতার মূল্যের নিয়ন্ত্রণহীন উর্ধগতির কারণে টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প এখন প্রায় ধ্বংসের পথে। সেতু, ছাইহাম, উত্তরা, সফট্সিল্ক, কটন, জরি, রেয়ন, পাকুয়ানসহ সব ধরনের সুতার দাম তাঁত মালিকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে উচ্চদামে সুতা ক্রয় করতে না পেরে অনেক তাঁত মালিকই তাঁত বন্ধ করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে তাঁত বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ছে। বর্তমানে জরি ৪শ’ ৫০ টাকা থেকে ৭শ’ টাকায়, পাকুয়ান ১৬শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা, ৩০ টাকা মুরা সুতার বর্তমান মূল্য ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ৪০ কাউন্টের ১১শ’ টাকার সুতা দুই হাজার টাকা, ছাইহাম ১৫শ’ থেকে ২৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মালিকরা। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির কেন্দ্রস্থল হচ্ছে দেলদুয়ার, পাথরাইল, চ-ী, বাজিতপুর, সাহাপাড়া, করটিয়া, পোড়াবাড়ি, চাড়াবাড়ি, বল্লা, রামপুর, এনায়েতপুর। টানা হরতাল-অবরোধের কারণে এসব এলাকায় তাঁতের শাড়ির পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা শাড়ি কিনতে আসতে পারছে না। ২০ দলের বিষাক্ত ছোবল থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে ॥ নৌমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, রাজাকার-আলবদরদের কবর দিয়ে সে মাটিতে স্বপ্নের সোনালি বাংলাদেশ গড়ব আমরা। তিনি বলেন, স্বজন হারানোর শ্মশানে জামায়াতীদের চিতা আমরা তুলবই। মঙ্গলবার দুপুরে মধ্যযুগের সাধক কবি হেয়াত মামুদের জন্মভূমি রংপুরের পীরগঞ্জের ঝাড় বিশলা গ্রামে তার ২৪৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারে, কোরআন শরীফ-জায়নামাজ পোড়ায়, বাসে আগুন দেয়, তারা মানুষ হতে পারে না। তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। কোন ধর্মই মানুষ হত্যা বরদাশত করে না। বিএনপি নেত্রীকে খাঁচায় বন্দী করে ২০ দলের বিষাক্ত ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। অনৈতিক হরতাল দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। বক্তব্য রাখেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, জেলা পরিষদের প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ ইউনুস সরকার এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, এ্যাডভোকেট এমএ বাশার, পীরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু, সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।
×