ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার;###;ননী গোপাল ঘোষের জবানবন্দী

হাসান দারোগা নিজে আমার জেঠা ও দুই কাকাকে হত্যা করে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হাসান দারোগা নিজে আমার জেঠা ও দুই কাকাকে হত্যা করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রাক্ষণবাড়িয়ার পলাতক রাজাকার কমান্ডার হাসান আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৭তম সাক্ষী ননি গোপাল ঘোষ জবানবন্দীতে বলেছেন, হাসান দারোগা নিজ হাতে আমার জ্যেঠা সতীশ চন্দ্র, কাকা সুরেশ চন্দ্র ও জগদীশ চন্দ্রকে রাস্তায় নামিয়ে গুলির মাধ্যমে হত্যা করে। পরে তার নির্দেশে রাজাকাররা আরও ৫ জনকে একইভাবে হত্যা করে। এ ঘটনা সে তার জেঠিমা সঞ্জুবালা ঘোষ ও গুলিতে আহত নরেন্দ্রের কাছ থেকে শুনেছে। জবানবন্দী শেষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পটুয়াখালীর রাজাকার ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সপ্তম সাক্ষী মতিলাল রায়ের জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। পরবর্তী সাক্ষীর জবানবন্দীর জন্য ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। হাসান আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেছেন, আমার নাম ননি গোপাল ঘোষ। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৭১ বছর। আমার স্থায়ী ঠিকানা, গ্রাম পাইকুড়া, থানা-কেন্দুয়া, জেলা নেত্রকোনা। বর্তমানে আমি ময়মনসিংহ শহরে বাস করি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল আনুমানিক ২৬, ২৭ বছর। ওই সময় আমি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। ১৯৭১ সালে শ্রাবণ মাসে আমাদের এলাকার পরিস্থিতি ভাল না থাকায় আমার মামা আমাদের গ্রামে এসে পরিবারের সবাইকে নানা বাড়ির ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার বিগুরহাটি গ্রামে নিয়ে যায়। আমার কাকারা গ্রামে ফিরে এসে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষী এ সব কথা বলেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
×