ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ডিসিসি নির্বাচনের সম্ভাবনা, ইসিও প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ডিসিসি নির্বাচনের সম্ভাবনা, ইসিও প্রস্তুত

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহই হতে পারে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনে সেভাবেই নির্দেশনা যাচ্ছে। ইসি সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সীমানা সংক্রান্ত গেজেট হাতে পৌঁছলেই কমিশন ডিসিসি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে। নির্বাচনের জন্য বাকি সব প্রস্তুত রয়েছে। সরকারী দলের নীতি নির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কৌশল থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ দুই সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় সরকার। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন আরও স্তিমিত ও অকার্যকর করে দেয়াই এর মূল লক্ষ্য। ঢাকার পরে জুনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন এবং পরে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দেয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ব্যবসায়ী আনিসুল হককে মনোনয়নের ইঙ্গিত দেয়ার পর ক্ষমতাসীন মহলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও মতে এটি যথাযথ সিদ্ধান্ত হলেও অনেকেই মনে করছেন, দলের বাইরে থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার ফল সুখকর হয় না। অতীতে একাধিকবার এর প্রমাণ হয়েছে। এক্ষেত্রে কি হবে তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। উত্তরের প্রার্থীর ইঙ্গিত দেয়ার পর দক্ষিণের মেয়র কে হচ্ছেন এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। নীতিনির্ধারক মহলে শুরু হয়েছে ছুটোছুটি। এ মুহূর্তে ডিসিসি নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আনার ব্যাপারে দলটির নেতারা মনে করছেন, এমনিতেই বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের কোনই প্রভাব নেই রাজধানী ঢাকাতে। দেশের মানুষও বিএনপির অযৌক্তিক এ আন্দোলন মানছে না। আর দেশের মানুষ নির্বাচন পাগল। রাজধানীতে নির্বাচন দিলে নগরবাসী নির্বাচনী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়বে। নির্বাচনী প্রচারের ঝড়ে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ কার্যত নিষ্ফল হয়ে পড়বে। এ ধারণা থেকে এবং রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে আরও চাপে ফেলতেই দ্রুত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় সরকার। ঢাকার পরেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এলজিআরডি মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন জয়-পরাজয় যাই হোক, সিটি নির্বাচন করতে হবে। এ নির্বাচন আর কতদিন ঝুলে থাকবে। স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে চলতে পারে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া নগরবাসী কাক্সিক্ষত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এদিকে, হঠাৎ করেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ইতিবাচক সাড়া প্রদানের পরপরই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের যেসব মেয়র পদপ্রত্যাশীরা মাঠে থেকে প্রচার চালিয়েছেন, তাঁরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী কে হচ্ছেন, এ নিয়ে দলটিতে জল্পনা-কল্পনারও কমতি নেই। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনেকটা চমকের মতোই এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট আনিসুল হককে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আগে শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। কিন্তু ঢাকা সিটিকে দু’ভাগে বিভক্ত করার পর নির্বাচন করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন মায়া। এরপর ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী পদপ্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতউল্লাহ। এছাড়াও সাদেক খানসহ আরও বেশ ক’জন নগর নেতা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পুত্র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। দলে এতো প্রার্থী থাকতেও কেন হঠাৎ করেই আনিসুল হককে বাছাই করা হচ্ছে, এ নিয়ে দিনভর নানা আলোচনা চলছে দলটির নানা পর্যায়ে। তবে দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে প্রথম থেকেই সতর্ক আওয়ামী লীগ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি বা জামায়াত নির্বাচনে আসবে না এটা নিশ্চিত। বিএনপি-জামায়াত না এলেও ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে নাগরিক কমিটির পক্ষে সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রার্থী হতে পারেন বলে সরকারের কাছে খবর আছে। আর তেমনটি হলে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না এলেও তাদের সব ভোট মান্নার বাক্সে পড়তে পারে। এসব বিষয় লক্ষ্য রেখেই সফল ব্যবসায়ী এবং সুপরিচিত মুখ এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আনিসুল হককেই মেয়র পদে প্রার্থী করতে চায় আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদের জন্য নগরের বেশ ক’জন নেতা আগ্রহ প্রকাশ করে দলের হাইকমান্ডের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। ঢাকা দক্ষিণেও আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি এবং জাসদের শিরীন আখতার এমপি নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকা দক্ষিণেও চমক দেয়ার মতো নতুন মুখ আনতে পারেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না এলে সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ হানিফের পুত্র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন কিছু সরকার থেকে জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনকে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য তারা একাধিক সময় নিয়ে ভাবছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সরকার চাইলে মার্চের শেষ সপ্তাহ কিংবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের কোন অসুবিধা হবে না। নগরীর সুলতানগঞ্জ এলাকা নিয়ে সীমানা জটিলতার কারণে দুই সিটি নির্বাচন করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে এখন দুই সিটি কর্পোরেশনের সীমানা নিয়ে গ্রেজেট প্রকাশ করার পর নির্বাচন দুটি অনুষ্ঠানে আর কোন বাধা থাকবে না। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন কমিশন ঢাকা সিটিতে নির্বাচন করতে পারেনি। ২০১১ সালের ৩০ নবেম্বর সরকার ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দু’ভাগে ভাগ করে দেয়। এরপর থেকে বিভক্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। একজন প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন ছয় মাস করে। গত সাড়ে তিন বছর ধরেই এমনিভাবে চলছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ॥ সীমানা সংক্রান্ত গেজেট হাতে পেলেই ডিসিসি নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিসি নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও সীমানা সংক্রান্ত কোন গেজেট এখনও কমিশনের হাতে এসে পৌঁছেনি। কমিশন ডিসিসি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ভোটার তালিকাও প্রস্তুত আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় থেকে সীমানা সংক্রান্ত গেজেট এলে নির্বাচনের পরবর্তী উদ্যোগ নেবে কমিশন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সীমানা সংক্রান্ত কোন জটিলতা নেই। আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি এ সিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কমিশন আগামী জুনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনা করছে। মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পত্রিকায় মাধ্যমে জানতে পেরেছি প্রধানমন্ত্রী ডিসিসি নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্বাচনের বিষয়ে মিডিয়া ছাড়া আর কোন সোর্স আপাতত নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে কমিশনকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিসিসি নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। গেজেট দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ৪০ লাখ ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে বলা আছে যদি নির্বাচন হয় তবে তারা অর্থ দেবে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবাই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা চলছে এবং সামনে এইচএসসি পরীক্ষা আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন দেয়াটা সমস্যা হবে। তাছাড়া বর্তমানে দেশের রাজনৈতির পরিস্থিতি ভাল না। আশা করি, দ্রুত এ অবস্থার পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবশ্যই বিবেচন করা হবে। ডিসিসি উত্তর-দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হোক এটা সবার আকাক্সক্ষা। কাজেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় নিয়েই নির্বাচন করবে কমিশন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়। এর মানে এই নয় যে স্থানীয় নির্বাচনে রাজনীতির কোন অবকাশ নেই। এ যাবত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে দলগুলো তাদের সমর্থন পুষ্ট প্রার্থীদেরই সমর্থন করেছে। এটা নতুন কোন বিষয় না। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে কোন বাধা নেই। আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি মেয়াদ শেষ হবে। নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদ শেষের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। ১৫ জুন থেকে রোজা শুরু হবে। সেজন্য ১৫ জুনের আগে নির্বাচন করতে হবে। সে রকম সময় ধরেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ধরে নেয়া যেতে পারে জুনের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালের ১৭ জুন চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর প্রথম সভা থেকে মেয়াদ ধরা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ওই বছর ২৬ জুলাই। সে অনুযায়ী এর মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৫ জুলাই। আইন অনুযায়ী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালে। বর্তমান কমিশন ২০১২ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর একই বছর ২৪ মে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তফশিল ঘোষণা করে। কিন্তু উত্তর সিটিতে সীমানা জটিলতা নিয়ে একটি রিট আবেদনের কারণে এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সর্বশেষ ডিসিসি নির্বাচন হয়েছিল ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল। বর্তমানের কোন নির্বাচিত মেয়র না থাকায় প্রশাসক দিয়ে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাজ চলছে।
×