ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪ শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ ॥ হত ১

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সীতাকুণ্ডে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪ শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ ॥ হত ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু- (চট্টগ্রাম), ১৪ ফেব্রুয়ারি ॥ সীতাকু-ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এদের মধ্যে আরিফ (১৬) নামে একজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায়ই ককটেল, পেট্রোলবোমা, এলজিসহ চার শিবিরকর্মী ও এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে আটক করে মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতাকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ তিনটি পেট্রোলবোমা, ১০টি ককটেল ও দুটি বিদেশী এলজি উদ্ধার করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার পৌর সদরের নূনাছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত শিবিরকর্মীরা হলো- উপজেলার বারৈয়াঢালা বহরপুর এলাকার আবুল বশরের ছেলে মোঃ পারভেজ (১৮), সৈয়দপুর শেখেরহাটের নাদেরুজ্জামানের ছেলে মোঃ রুবেল (১৬), বহরপুর এলাকার জহির আহম্মদের ছেলে সোহেল (১৬), ছোট দারোগারহাট পশ্চিম লালানগর এলাকার নূর বক্সের ছেলে নূরুল হাদি ও এক সিএনজিচালক। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সীতাকু- সার্কেলের এএসপি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধাবমান একটি অটোরিকশাকে সন্দেহ হলে এর গতিরোধ করে পুলিশ। এ সময় শিবিরকর্মীরা পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ওই শিবিরকর্মীরা আহত হয়। এরপর পুলিশ অটোরিকশা তল্লাশি করে তিনটি পেট্রোলবোমা, ১০টি ককটেল ও একটি এলজি উদ্ধার করে। আহতাবস্থায় তাদের প্রথমে সীতাকু- স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সে ও পরে চমেকে নেয়া হয়। পথিমধ্যে এক শিবিরকর্মীর মৃত্যু হয় বলে তিনি জানান। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু-ের চেয়ারম্যানঘাটায় হরতালকারীদের ছোড়া পেট্রোলবোমায় একটি ট্রাক পুড়ে গেছে। এতে ট্রাকচালক দগ্ধ হয়।
×