ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় লাঠি মিছিল ॥ সব রুটে গাড়ি চালানোর ঘোষণা

নাশকতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে মালিক-শ্রমিক

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নাশকতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে মালিক-শ্রমিক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ চললেও বগুড়ায় নাগরিক জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সড়ক মহাসড়ক পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে যানবাহন। অপর দিকে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা শনিবার দুপুরে হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা-সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিবহন জ্বালিয়ে পরিবহন শ্রমিকসহ যাত্রী হত্যার প্রতিবাদে লাঠি মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে মালিক-শ্রমিকরা হরতালে বগুড়া থেকে সব রুটে বাস মিনিবাস ট্রাকসহ অটোরিক্সা চলাচল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের মতো শনিবারও বগুড়ার সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটসহ মহাসড়কে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নগর জীবন যাত্রাও ছিল স্বাভাবিক। অবরোধের কোন ছায়া ছিল না সড়ক মহাসড়কগুলোতে। বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে গন্তব্যের উদ্দেশে বাস ছেড়ে গেছে। এদিকে হরতাল-অবরোধে সন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা মেরে শ্রমিকসহ সাধারণ যাত্রী হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বগুড়ার পরিবহন সেক্টর। দুপুরে তারা নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শহরে লাঠি মিছিল করে। বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে থেকে পরিবহন শ্রমিকদের এই লাঠি মিছিলে যোগ দেন মালিক সমিতিগুলোর নেতৃবৃন্দ। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির আয়োজনে এই মিছিলে বাস ট্রাক অটোরিক্সাসহ সব পরিবহনের শত শত শ্রমিক লাঠি নিয়ে হরতাল অবরোধকারীদের নাশকতা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠে সেøাগান তোলেন। লাঠি মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সাতমাথায় এসে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদী মালিক শ্রমিকরা সমাবেশ করেন। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে বিভাগীয় কমিটি ও বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ ম-ল, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল, মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সাগর রায়, পরিবহন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, হরতাল অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন রোধ করার চেষ্টা চলছে। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা কোন পক্ষ নয় অথচ তাদের নির্বিচারে তাদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আর বসে থাকবে না। তাদেরও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে। এখন থেকে সন্ত্রাস নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
×