ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর এই বার্তা নিয়েই আসছেন

দ্রুতই সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, তিস্তা পানি চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দ্রুতই সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, তিস্তা পানি চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। গত মাসের শেষ দিকে সুজাতা সিংকে সরিয়ে জয়শঙ্করকে পররাষ্ট্র সচিব করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকের দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হচ্ছে তার। এদিকে শুক্রবার শিশু ক্যান্সার ও এসিড দগ্ধদের সহায়তার লক্ষ্যে রিকশা র‌্যালি করেছেন ঢাকায় কানাডীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের এ সফরের বিষয়ে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইট বার্তায় মোদি বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দ্রুতই আমরা নতুন পররাষ্ট্র সচিবকে ‘সার্ক যাত্রায়’ পাঠাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশও সফর করবেন উদীয়মান পরাশক্তি ভারতের এই পররাষ্ট্র সচিব। এর আগে জয়শঙ্করের ঢাকা সফর সম্পর্কে অবহিত করতে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সাফল্যও কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ঝুলে থাকা দুটি বিষয় আগামী পার্লামেন্ট অধিবেশনেই মিটিয়ে ফেলতে চায় ভারত সরকার। এ বার্তাই বাংলাদেশ সরকারকে পৌঁছে দিতে জয়শঙ্করকে বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবি। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে তা আটকে যায়। সে সময় স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেরও বিরোধিতা করেছিলেন মমতা। তবে গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বচনে জয়ী হয়ে বিজেপি সরকার গঠনের পর অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত বছরের ২৬-২৮ জুন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকা সফর করেন। সেই সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দু’পক্ষই ঐক্যমত্রে পৌঁছায়। এদিকে শিশু ক্যান্সার ও এসিড দগ্ধদের সহায়তায় তৃতীয়বারের মতো রিকশা র‌্যালি করেছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বারিধারায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের সামনে র‌্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়। কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন। হাইকমিশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালির সমন্বয়কারী কানাডিয়ান রিক্রিয়েশন ক্লাবের চার্জ লিসালি বলেন, রিকশা র‌্যালি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করে থাকে। স্পন্সর থেকে প্রাপ্ত অর্থ শিশু ক্যান্সার ও এসিড দগ্ধদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়। প্রতি দলে চারজন করে র‌্যালিতে মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। এর আগে ২০১২ ও ২০১৩ সালের নবেম্বরে এ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের নবেম্বরে এ র‌্যালির আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় তা পিছিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে দিনটি কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের বসন্তের দিনের সঙ্গে মিলে গেছে বলেও জানান লিসালি। র‌্যালিতে বর্ণিল সাজে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের দেখা গেছে।
×