ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কমে আসতে শুরু করেছে নাশকতাকারীদের তাণ্ডব

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আরও দশ হাজারের বেশি লোক নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আরও দশ হাজারের বেশি লোক নেয়া হচ্ছে

শংকর কুমার দে ॥ অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনের সহিংস সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আরও হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার। বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা ৩৮ দিনের অবরোধ-হরতালের পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারাসহ সহিংস সন্ত্রাসে খুন হয়েছে ৮৭ জন, আহত করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক, যানবাহনে ভস্মীভূত ও ভাংচুরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সহস্রাধিক, মানুষের জীবনসহ কোটি কোটি টাকার মাল, সহায়-সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাসে নজিরবিহীন অপরাধী কার্যক্রম। কেবল ১শ’ কোটি টাকার যানবাহনই ভস্মীভূত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবরোধ-হরতালের সহিংস সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের ফৌজদারি অপরাধে আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় তুলবে সরকার। এজন্য গ্রাম, পাড়া, মহল্লার তৃণমূল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুর্বৃৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, অবরোধ-হরতালের সহিংসতা স্থায়ীভাবে মোকাবেলা করার জন্য অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে দশ সহস্রাধিক সদস্যকে। পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার সহিংসতা রোধকল্পে রাজধানীসহ দেশের বিভাগ ও জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হচ্ছে বার্ন ইউনিট। পেট্রোলবোমার আগুনে জীবন্ত দগ্ধ রোগীদের জন্য ইতোমধ্যে সাড়ে ৬ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সাহায্য আরও বাড়ানো হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের শুরুতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে যে তা-বলীলা চালানো হচ্ছিল তা ক্রমেই কমে আসতে শুরু করেছে। পুলিশ বাহিনীপ্রধান একেএম শহীদুল হক র‌্যাববাহিনী প্রধান বেনজীর আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনসংযোগ শুরু করেছে। যেখানে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার সহিংস সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে সেখানেই তারা জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সমাবেশ করে দুবর্ৃৃত্ত ও সহিংস সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের বিষয়ে সফল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। এতে গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ও ওয়ার্ড, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষজনের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক কেটে গিয়ে প্রতিশোধের শক্তি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে।
×