ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহযোগী প্রতিষ্ঠানই ভরসা বিএসআরএমের

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সহযোগী প্রতিষ্ঠানই ভরসা বিএসআরএমের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ স্টিল রি- রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মুনাফা মূল প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। আর এই কারণেই বাংলাদেশ স্টিল রি- রোলিং মিলসের মুনাফা নির্ভর করে সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের ওপর। পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে আগ্রহ দেখালেও কোম্পানি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিএসআরএমের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে বিএসআরএমের নিট মুনাফা হয় ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। একই সময়ে কোম্পানি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ থেকে ৯৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা মুনাফা পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওই বছর সহযোগী প্রতিষ্ঠান মুনাফা না করলে বিএসআরএমের লোকসান হতো। বছরের ব্যবধানে ২০১৩ সালে বিক্রয় ও মোট মুনাফার পরিমাণ কমেছে বিএসআরএমের। আগের বছরের ১ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা থেকে কমে ২০১৩ সালে এ কোম্পানির পণ্য বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৬০ কোটি টাকা। ফলে আগের বছরের ৭০ কোটি টাকার মুনাফা ২০১৩ সালে ৫০ কোটি টাকায় নেমে যায়। জানা গেছে, তালিকাভুক্ত বিএসআরএম স্টিল থেকে ব্যবসায়িক সুযোগ নেয় বিএসআরএম। কোম্পানি বিএসআরএম স্টিল থেকে শত শত কোটি টাকার পণ্য বাকিতে কেনে, যা বকেয়া রাখা হয় দীর্ঘদিন। তবে অন্য কোন কোম্পানির কাছে বাকিতে পণ্য বিক্রি করে না বিএসআরএম স্টিল। ২০১৩ সালে বাকিতে বিক্রি বাবদ বিএসআরএম স্টিলের পাওনা রয়েছে ৪৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে ৩৫৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে বিএসআরএমে। ১৫৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূলধনের বিএসআরএমের ২০১৩ সাল শেষে ৮১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। তবে এই সম্পদ ব্যবসা করে অর্জন করেনি কোম্পানি। ৮১১ কোটি টাকা সম্পদের মধ্যে ৪১৩ কোটি টাকা বেড়েছে পুনর্মূল্যায়ন থেকে। এর মধ্যে আবার কোম্পানির সম্পদ ২০০৮ ও ২০১২ সালে দু’বার পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ৫২.০৯ টাকা। তবে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এর পরিমাণ মাত্র ২৫.৫৮ টাকা। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে প্রতি শেয়ারে ৩৫ টাকা করে উত্তোলন করবে বিএসআরএম। আইপিওর পর এ কোম্পানির ৫২.০৯ টাকার এনএভিপিএস কমে দাঁড়াবে ৫০.৩৭ টাকায়। ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৪২ ধারা অনুযায়ী নিট আয়ের ৫ শতাংশ হারে ফান্ড গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর গঠিত ফান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিবছর বিতরণ ও বাকি একাংশ মুনাফাযোগ্য খাতে বিনিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কোম্পােিত নিয়মতান্ত্রিকভাবে শ্রমিক ফান্ডের টাকা বিতরণ করা হয় না। আর আইনটি ২০০৬ সাল থেকে কার্যকর হলেও ২০০৯ সাল পর্যন্ত শ্রমিক ফান্ড গঠন করা হয়নি।
×