ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হরতাল অবরোধে লালমনিরহাটসহ আট জেলার কৃষক বিপর্যস্ত

বোরো আবাদে কৃষকের প্রণোদনা দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বোরো আবাদে কৃষকের প্রণোদনা দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ রংপুর বিভাগে ধান চাষে সরকারী প্রণোদনা পেয়েছেন ১৭ হাজার এক শ’ পঁচানব্বই কৃষক। মাসব্যাপী হরতাল-অবরোধের ক্ষতি সামাল দিতে চায় তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক। তাই সরকারের কাছে ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বোরো ধান চাষে সরকারী প্রণোদনা প্রার্থনা করে দাবি তুলেছেন তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক। রংপুর অঞ্চলে শীত মৌসুমের সবজি চাষ হয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। উত্তরাঞ্চলের সবজি সারাদেশে ছড়িয়ে যায়। উত্তরাঞ্চলে সবজি চাষে কৃষি শিল্পে পরিণত হয়েছে। তবে কৃষিপণ্যের ওপর নির্ভর করে ভারি তেমন কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর হতে রংপুরাঞ্চলে ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। শীতে এই অঞ্চলে বাম্পার সবজি চাষ হয়। আলু ছাড়া কোন সবজি সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ বছর শীতের ভরা সবজি মৌসুমে বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে পড়তে হয় কৃষককে। পরিবহন ব্যবস্থায় নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এক মাসের অবরোধ-হরতালে কৃষক উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিপণন করতে পারেনি। ফলে সবজি চাষে বাম্পার ফলন ফলিয়ে দাম পায়নি। কোন রকমে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হয়। আমন ধানের আবাদ তুলে শীতের সবজি করেছিল কৃষক। লালমনিরহাট জেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে (খরিপ ২) সরকারী প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে প্রত্যেক কৃষককে প্রতিবিঘা জমির বিপরীতে ডিএপি সার কুড়ি কেজি, পটাশ দশ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। নারিকা জাতের ধানচাষীদের দশ কেজি ও উফশী জাতের ধানচাষীকে পাঁচ কেজি করে ধানের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার কৃষক প্রণোদনা পাননি। বন্যায় আমন ফসল পর পর তিন বার ডুবে যায়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষককে বীজতলা পুনরায় করতে প্রণোদনা হিসেবে দিয়েছিল। তবে রবি মৌসুমে সবজি বীজ প্রণোদনা হিসেবে দিয়েছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাফায়াত হোসেন জানান, বোরো মৌসুমে লালমনিরহাটের কৃষককে কোন প্রণোদনা দেয়া হয়নি। তবে আমন মৌসুমের শুরুতে বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেই সময় সরকার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বোরো ধানের বীজ প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে ছিল যৎসামান্য। এই বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছে উত্তরাঞ্চলের কৃষক। কারণ অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে। সার, ডিজেল, বীজ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরকার কৃষকের জন্য নিশ্চিত করেছে।
×