ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৩ উইকেটে লড়াকু হার

পরাজয়ও সম্ভাবনা দেখাল বাংলাদেশকে!

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পরাজয়ও সম্ভাবনা দেখাল বাংলাদেশকে!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ দল? অফিসিয়াল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের আগে দুটি আনঅফিসিয়াল অনুশীলন ম্যাচ খেলে তেমন স্বপ্ন দেখাতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজারা। অস্ট্রেলিয়া একাদশে খুব বড় তারকা কেউ না থাকলেও তাদের কাছে সহজেই আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। তবে সিডনিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হারতে হয়েছে তবে বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র ৫ দিন আগে ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের মনোভাবটা স্বপ্ন দেখাচ্ছে মূল মঞ্চে দারুণ কিছু করার। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো নির্ভরযোগ্য ওপেনার তামিম ইকবাল এদিনও প্রথম ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। আর ফিরেই তিনি ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও ৮৩ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেছেন। এর পরও অবশ্য ৪৯.৫ ওভারে ২৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশী পেসাররাও দারুণ বোলিং করে চেপে ধরেছিলেন পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখেই ৪৮.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান তুলে জয় পায় পাকরা। আফগান ‘জুজু’ এবার বিশ্বকাপের প্রথমেই আছে বাংলাদেশের। যদিও দেশ ছাড়ার আগে ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই আফগানিস্তানকে নিয়ে কোন দুঃশ্চিন্তা নেই তা দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন। গত বছর এশিয়া কাপে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির কাছেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। কেমন করবে দল? গত বছরটা পুরোপুরি ব্যর্থতায় কাটার পর শেষ দিকে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে শতভাগ জয়ে যেন কিছুটা আলোর দিশা পেয়েছিল ক্রিকেটাররা। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে বাংলাদেশ। দুটি অনুশীলন ম্যাচেও তেমন সুবিধা করা সম্ভব হয়নি। এর পরও সিডনির ব্ল্যাকটাউন অলিম্পিক পার্ক ওভালের দিকে দৃষ্টি ছিল সবার। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচটার সব টিকেট আগেই শেষ হয়েছিল। এ ম্যাচটি বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে কেমন করবেন মাশরাফিরা সেটারই প্রতিচ্ছবি দেখার ম্যাচ। আগের ম্যাচটায় সামান্য ইনজুরিতে পড়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তাছাড়া দুটি অনুশীলন ম্যাচেই নামতে পারেননি ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা তামিম। তবে এদিন দু’জনই খেলেছেন। টস জিতে মাশরাফি আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এখন পর্যন্ত সফরে ব্যর্থ ওপেনার এনামুল হক বিজয় এদিনও দ্রুতই ফিরে গেলেন কোন রান না করেই। মুমিনুল হকও বেশিক্ষণ টিকতে (৭) পারেননি। ১৬ রানেই দুই উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে পাক বোলারদের জন্য হতাশা উপহার দেন তামিম ও মাহমুদুল্লাহ। তাঁরা দু’জন মিলে যোগ করেন ১৬৮ রান। ইনজুরি থেকে ফিরলেও বেশ ধীর স্থির থেকে দেখেশুনে সাবলীলভাবেই খেলছিলেন তামিম। মাহমুদুল্লাহ ১০৯ বলে ৫ চারে ৮৩ রান করে ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনিও। ১০৯ বলে ৫ চারে ৮১ রান করে ফিরে যান। এরপর সাকিব আল হাসান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান পাক বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতা দিয়ে শুরু এবং শেষ হওয়ায় ৪৯.৫ ওভারে ২৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তিন পেসার মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের তোপে পড়ে ৫২ রানেই সরফরাজ আহমেদ, আহমেদ শেহজাদ ও ইউনুস খানকে হারায় পাকরা। হারিস সোহেল কিছুটা প্রতিরোধ করে তিনিও মাহমুদুল্লাহর বলে ফিরে যান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও একপ্রান্তে শোয়েব মাকসুদের দৃঢ়তায় ম্যাচ জিতে যায় পাকরা। তিনি ৯০ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ী করেন।
×