ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা পুঁজিবাজারে সূচকের টানা উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর কমে যাওয়ায় কৌশলী বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারে সক্রিয় হয়েছেন। মূলত তাদের শেয়ার কেনার আদেশ বাড়ার কারণেই সূচকে আহামরি কোন পরিবর্তন না হলেও মৌলভিত্তি সম্পন্ন বেশকিছু কোম্পানির দর বেড়েছে। তবে এর মাঝেও বেশকিছু কোম্পানির মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। সকালে আগের দিনের চেয়ে সূচক তুলনামূলক বেশি বাড়লেও শেষার্ধে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কিছুটা কমে যায়। তবে আগের দিনের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে টাকার অঙ্কে সেখানে লেনদেন বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭১২ পয়েন্টে। গত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৯৪ পয়েন্ট। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবারে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৬৮ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। রবিবার ডিএসইর সার্বিক সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৭০১ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২২১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসেবে সোমবার ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বা ২১.২২ শতাংশ। বিগত কয়েক দিন ধরে অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে অনেকে কম দরে শেয়ার কেনার সুযোগ নিচ্ছে। অনেকে আগের বেশি দরে কেনা শেয়ার পুনরায় কম দরে কিনে সমন্বয় করছেন। ফলে চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। দিনটিতে ডিএসইর সেরা-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ১৩৭ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫১.৪০ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। দিনভর এ কোম্পানির ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫টি শেয়ার ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০.৬২ শতাংশ। এছাড়া এসিআই লিমিটেডের ১১ কোটি ১ লাখ, এমজেএল বিডির ৯ কোটি ৯২ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৯ কোটি ৬ লাখ, গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৩১ লাখ, এসিআই ফরমুলেশনের ৬ কোটি ৬৩ লাখ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ৬ কোটি ৮ লাখ, সিঙ্গার বিডির ৫ কোটি ৮৮ লাখ, আমরা টেকনোলজিসের ৫ কোটি ২৯ লাখ এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই ফরমুলেশন, ম্যাকসন্স স্পিনিং, আইএফআইএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ফনিক্স ফাইনান্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এসিআই, ওয়াটা কেমিক্যাল, সামিট পোর্ট এলায়েন্স, ডেল্টা লাইফ, গ্রীন ডেল্টা ও নদার্ন জুটস। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ইফাদ অটোস, অলটেক্স, ফারইস্ট ফাইনান্স, জিএসপি ফাইনান্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, কে এ্যান্ড কিউ, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, আইসিবি এএমসিএল ২য়, ৭ম আইসিবি ও সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৪৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ৯১টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে সোমবার সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ইফাদ অটোস, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, মবিল যমুনা বিডি, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, সিঙ্গার বিডি, বিএসআরএম স্টিল ও বেক্সিমকো।
×