ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দিনেদুপুরে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দিনেদুপুরে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তাহেরা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। শনিবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের সাহেবপাড়া রেল কোর্য়াটারে এ ঘটনা ঘটে। দিনদুপুরে এ ঘটনায় সৈয়দপুর তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। হত্যার শিকার তাহেরা বেগম সৈয়দপুর রেল কারখানার ফাউন্ড্রি শপের সুপারভাইজার মাহবুবার রহমানের স্ত্রী। এলাকাবাসী জানায়, সৈয়দপুর রেলকারখানার অধীন শহরের সাহেবপাড়া মহল্লার এল ৪৪ নম্বর রেল ফ্লাটে থাকত ওই দম্পক্তি। তাদের বড় ছেলে পাভেল রহমান টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। ছোট মেয়ে মালিহা ফারজানা পমা ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মেয়েটি কয়েকদিন আগে সৈয়দপুরে আসে। মেয়ে পমা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায়, দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে বেলা তিনটার দিকে সে ও তার বাবা কিছু কেনাকাটার জন্য সৈয়দপুর বাজারে যায়। বিকাল ৪টার দিকে এলাকার এক ব্যক্তি তার পিতার মুঠোফোনে ঘটনার কথা জানায়। বাজার থেকে পিতাসহ সে রেল কোয়াটোরে ছুটে এসে দেখতে পায় তার মা তাহেরা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তার শারীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। দ্রুত তাকে রেলওয়ে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী জানায়, বিকাল প্রায় ৪টার দিকে তারা সাহেব পাড়ার ৪৪ নম্বর রেল ফ্ল্যাট থেকে মহিলার আর্তচিৎকার শুনতে পায়। এরপর বেশ কিছু লোকজন এগিয়ে এলে দেখতে পায় ৬/৭ জন অপরিচিত যুবক একটি বড় ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে। গাইবান্ধায় চাঁদা না দেয়ায় বসতবাড়ি ও মন্দির গুঁড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৭ ফেব্রুয়ারি ॥ সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের আনালেরতাড়ি গ্রামে সাধন চন্দ্র রায়ের অসহায় বিধবা মা সাবিত্রী রানীর নবনির্মিত বসতবাড়ি ও সংলগ্ন পারিবারিক মন্দিরটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার সকালে বসতবাড়ি নির্মাণ বাবদ দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ না করায় সংখ্যালঘু পরিবারটির ওপর এই সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হয়। জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত নিশিকান্ত রায়ের স্ত্রী সাবিত্রী রানী আনালেড়তাড়ি মৌজায় তার ভোগদখলকৃত ৭ শতক জমিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি সেখানে আধাপাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে ওই এলাকার ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মৃত ফুল মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী সোনাতন বেগম সাবিত্রী রানীর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হলে উক্ত ব্যক্তিরা তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে হুমকি দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হলে উক্ত সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় দফায় শনিবার সকালে উক্ত আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে বাড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী সালেহা বেগম, আব্দুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রউফ, সুরুজ আলীর ছেলে রেজা মিয়া, সৈয়দ আলীর ছেলে মধু মিয়া, আব্দুল মজিদের ছেলে বাবু মিয়া তাদের দলবল সন্ত্রাসীসহ বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন আধাপাকা ঘরসহ সংলগ্ন পারিবারিক মন্দিরটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় এবং বসতবাড়ির অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
×