ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চুলচেরা বিশ্লেষণের পর গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কমানোর সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৮:১২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চুলচেরা বিশ্লেষণের পর গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কমানোর সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিমাসে ২৫০ টাকার গ্যাস ব্যবহার করে একজন গ্রাহককে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা। গ্রাহক প্রতি মাসে ২০০ টাকা বেশি আদায়ের পরও ১২২ ভাগ মূল্য বৃদ্ধির আবেদন করেছে বিতরণ কোম্পানি। সকল বিদ্যুত এবং গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লাভে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার বিইআরসি মিলনায়তনে গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ দিন গ্রাহকদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। শুনানি শেষে সমাপনী বক্তব্যে বিইআরসি চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, বহুল বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনার ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন কমিশনের মতো এই কমিশন নয়। এটা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। এখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়তে যতই প্রস্তাব দেয়া হোক না কেন ভোক্তার স্বার্থের বিরুদ্ধে কমিশন কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। এমনকি কোন চাপের মধ্যেও সিদ্ধান্ত নেবে না। এই কমিশন ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার্থে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যত প্রস্তাবই কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া হোকনা কেন সব প্রস্তাব চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তবেই দাম বাড়বে নাকি কমবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চেয়ারম্যান বলেন, স্বচ্ছতা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ভোক্তাদের স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সামান্য ভুলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। গ্যাস এবং বিদ্যুতে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কমিশনের অত্যন্ত সর্তকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন অদক্ষ লোকদের হাতে বিদ্যুতও জ্বালানি খাতে দায়িত্ব পড়ায় অনেক ক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চান এটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, কমিশনের সদস্যদেরও নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকায় উচিত। এদিকে কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা পেট্রোবাংলার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য নই। কমিশন আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবে। বিইআরসির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) এবং বিকেলে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের। জালালাবাদের গড়ে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি চার দশমিক ৯৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। জালালাবাদের পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিএম অজিত কুমার শাহ, শোয়েব আহমেদ মতিনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিকেলে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান। সুন্দবনের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি সুস্পষ্ট কোন মূল্যায়ন করেনি। উল্লেখ্য, এই কোম্পানি এখনও সেভাবে গ্যাস বিতরণ শুরু করেনি।
×