ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আদমদীঘিতে হাটের সম্পত্তি অবৈধ দখলে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আদমদীঘিতে হাটের সম্পত্তি অবৈধ দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দুগ্রামের কড়ই হাটের প্রায় ৯ হাজার বর্গফুট জায়গা ৪১ ব্যক্তি দখল করে নিয়ে দোকান ও মার্কেট নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। জানা গেছে, হাটের জায়গা কমে যাওয়ায় একদিকে রাস্তার ওপর বসছে হাট। অন্যদিকে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটার পাশাপাশি প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একদিকে হাটের জায়গা কমে গিয়ে টোল আদায় কম হওয়া আরেকদিকে দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়েছে হাটের ইজারাদার। এ অবস্থায় আগামীতে হাটের ডাকমূল্য কমে গিয়ে সরকারের রাজস্ব আয় আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনাটি অবহিত করার পাশাপাশি ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং হাটের উন্নয়ন করার জন্য ইজারাদার আব্দুল মান্নান গত ৬ মাসে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোন প্রতিকার মেলেনি। সরেজমিন আরও জানা গেছে, কড়ই হাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ৮ হাজার ৯ শত ৩৮ বর্গফুট জায়গা ৪১ ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সেখানে তারা নির্মাণ করেছে দোকান ও ছোট ছোট মার্কেট। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই হাটে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্থাপনা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার জন্য ৩৯ ব্যক্তিকে ৭ দিনের সময় দিয়ে নোটিস দেয়া হয়েছে। নোটিস অমান্য করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাবনায় বারি সরিষা আবাদে ব্যাপক সাড়া নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ জেলায় বারি সরিষা-১৪ আবাদে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নতুন জাতের এ সরিষায় প্রতি বিঘায় ৬-৭ মণ ফলন আশা করছে কৃষকরা। সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে ১শ’ ৫০ বিঘা এবার পরীক্ষামূলক বারি সরিষা-১৪ জাত আবাদ করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে এ জাতটি জনপ্রিয় করতে জলবায়ূ পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ও কৃষি গবেষণার কেন্দ্রের উদ্যোগে এ আবাদ করা হয়। সরেজমিন মাঠ পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রচলিত সরিষা জাতের তুলনায় বারি জাতের সরিষা গাছ বেশ উঁচু ও মোটাকৃতির। প্রতি গাছে ঝোপায় ঝোপায় সরিষা ধরে। ক্ষেতে কর্মরত কৃষক ইসমাইল হোসেন, রমজান আলী, তোরাব আলী জানিয়েছেন, এ এলাকায় টরি-৭ জাতের সরিষা দীর্ঘদিন ধরে আবাদ হয়ে আসছে। কিন্তু এর ফলন ও রোগবালাই’র আক্রমণ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এতদিন তেমন লাভবান হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে তারা এখন ব্যাপক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
×