ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চার দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা চার কার্যদিবস সূচকের পতনের পর মঙ্গলবার উর্ধমুখী প্রবণতা দিয়ে দেশের উভয় পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। গত দেড় মাসের টানা পতনের কারণে কিছু কোম্পানির দর অনেক কমে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন। বিশেষ করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। যার কারণে সূচকেও ইতিবাচক প্রবণতা বেড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের মোট ৬৮ শতাংশ কোম্পানির দর বাড়ার দিনে প্রায় ১ শতাংশ সূচক বেড়েছে। তবে আগের দিনের চেয়ে সেখানে সামান্য লেনদেন কমেছে। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের মাঝারি ধরনের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু মাত্র ১০ মিনিট পরে ডিএসইর সার্বিক সূচকটির তীর ওপরের দিকে উঠতে থাকে। দিনশেষেও যা অব্যাহত ছিল। শেষ বিকেলে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচকের মতো সেখানে অপর দুটি সূচকও বেড়েছে। বাছাই তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২৪টির দর বাড়ার কারণে ডিএস-৩০ সূচকটি আগের দিনের চেয়ে মোট ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। দিনশেষে বাছাই সূচকটির মোট অবস্থান দাঁড়ায় ১ হাজার ৭২৩ পয়েন্ট। একইভাবে শরীয়াহ ভিত্তিক সূচকটির অবস্থান দাঁড়ায় ১১০২ পয়েন্টে। মোট ১ শতাংশ হারে এই সূচকটি বেড়েছে। ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৫৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। মঙ্গলবার ডিএসইর সেরা-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ৮৫ কোটি ১৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৩.৭৭ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইলের। দিনভর এ কোম্পানির ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯১টি শেয়ার ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া আমরা টেকনোলজিসের ৮ কোটি ৭০ লাখ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ৬ কোটি ৯০ লাখ, গ্রামীণফোনের ৬ কোটি ৪৯ লাখ, এমজেএল বিডির ৬ কোটি ১৭ লাখ, অগ্নি সিস্টেমসের ৪ কোটি ৬২ লাখ, ইউসিবেএলের ৪ কোটি ২৮ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৪ কোটি ১৭ লাখ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৪ কোটি ১৪ লাখ ও বেক্সিমকো ফার্মার ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, সায়হাম কটন, বিডি থাই, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এসিআই ফর্মূলেশন, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, জেমিনী সী ফুড ও সিনো বাংলা। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, সমতা লেদার, লিব্রা ইনফিউশন, প্রগেসিভ লাইফ, গ্রীন ডেলটা, আজিজ পাইপস, ফাস ফাইন্যান্স, মুন্নু স্টাফলারস, রূপালী ব্যাংক ও ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬৪৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ৫২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসেবে মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, গ্রামীণফোন, আমরা টেক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মা, ইউসিবিএল ও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল।
×