ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল মান্নান

বিএনপির অগস্ত্যযাত্রা

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিএনপির  অগস্ত্যযাত্রা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা বেশ ভালবাসতেন ও উপভোগ করতেন। এতে তাঁর কোন রাখঢাক ছিল না। তাঁর স্ত্রী-সন্তানরাও অনেকটা তাঁর মতো হয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৪ নবেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে খন্দকার মোশতাক পদত্যাগ করলে দেশের প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে ৬ নবেম্বর রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ৭ নবেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর জিয়া প্রথমে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। আবার একই দিন আরেক বেতার ঘোষণায় বলা হয়, বিচারপতি সায়েমই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্য প্রধানদের উপ-সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বিচারপতি সায়েম ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জেনারেল জিয়া তাঁকে পদত্যাগ করতে অনেকটা বাধ্য করেন। বিচারপতি সায়েম পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ইংরেজীতে অঃ ইধহমধনযধনধহব : ঃযব ষধংঃ ঢ়যধংব শিরোনামে একটি স্মৃতিকথা লেখেন, যা সাংবাদিক মশিউল আলম ১৯৯৮ সালে বাংলায় অনুবাদ করেন। বিচারপতি সায়েমের স্মৃতিকথায় তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বিশেষ সহযোগীর (বিচারপতি সাত্তার) নেতৃত্বে উপদেষ্টা কাউন্সিলের কতিপয় সিনিয়র বেসামরিক সদস্য আমাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার অনুরোধ করেন। তাঁরা বলেন, তাঁরা তৎকালীন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অধীনে কাজ করতে চান। ...তাঁদের মতামত ও সম্মতি পাওয়ার পর আমি বিশেষ সহযোগীর মাধ্যমে জিয়াকে আসতে বলি। জিয়া আসার পর আমি প্রসঙ্গটা উত্থাপন করি যে, যেহেতু আমার পদত্যাগপত্র কাকে সম্বোধন করে লেখা হবে বা কার কাছে দাখিল করা হবে সে প্রশ্ন রয়ে গেছে, কারণ সেরকম কেউ নেই, সুতরাং কীভাবে আমি পদত্যাগ করব। ...জিয়া বললেন, ‘তিনি ইতোমধ্যে যখন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়ে গেছেন, তখন এরকম সঙ্কট তিনি মোকাবেলা করবেন সামরিক আইনের কর্তৃত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে।’ এরপর বিচারপতি সায়েম জেনারেল জিয়ার কাছেই তাঁর পদত্যাগপত্র পেশ করেন। এটি ছিল সামরিক গণতন্ত্রের একটি নতুন অধ্যায়। পরবর্তীকালে সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে জিয়া সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার কয়েক মাস পর নজিরবিহীনভাবে পিছনের তারিখ দিয়ে নিজেকে লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়েছিলেন। জীবদ্দশায় জিয়া কমপক্ষে কুড়িটি সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ সব অভ্যুত্থানের সঙ্গে যাদের দূরবর্তী সম্পর্কও ছিল তাঁদের তিনি সংক্ষিপ্ত সামরিক ট্রায়ালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। এদের সংখ্যা দু’হাজারের কম নয়। কারও লাশই তাঁদের পরিবার-পরিজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। বিচারপতি সাত্তার ছিলেন জিয়ার তল্পিবাহক। তাঁকে জিয়া উপ-রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন এবং তাঁকে ব্যবহার করে স্বাধীনতাবিরোধী, অতি ডান আর অতি বামদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। এ সবই তিনি করেছিলেন তাঁর ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য। সহায়তা নিয়েছিলেন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আর দু’হাত উজাড় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে অর্থ ব্যয় করেছিলেন। এ সব কর্ম যখন জিয়া করছিলেন তখন দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম অনেকাংশে নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৮১ সালের মে মাসের ৩০ তারিখ জিয়া চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হলে বিচারপতি সাত্তার বিএনপির চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে বিচারপতি সাত্তার নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে বিচারপতি সাত্তারের পরিবর্তে বেগম জিয়াকে দলের চেয়ারপার্সন মনোনীত করা হয়। বেগম জিয়ার কোন রাজনৈতিক অতীত ছিল না, কিন্তু একবার রাজনীতিতে প্রবেশের পর তিনি তাঁর পুরো স্বাদ পেয়ে যান। একই বছর জেনারেল এরশাদ আর এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা দখল করেন। পুরো নব্বইয়ের দশক আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম দলগুলো আর ছাত্র-জনতা এরশাদকে হঠানোর আন্দোলন করে এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে বিএনপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে বেগম জিয়া আসল ক্ষমতার স্বাদ পেতে শুরু করেন। সেই বিজয়ের পিছনে কাজ করেছিল বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের একটি অলিখিত আঁতাত আর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম আনাড়িপনা। বেগম জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী তখন তাঁর সন্তানরাও ক্ষমতার কিছুটা স্বাদ নিতে শুরু করে। প্রথম দিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় তেমন বড় কোন ভুল না করলেও যতই দিন যেতে থাকে ততই তাঁকে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক পেয়ে বসে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের নামে ব্যাপক তামাশা। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার আগে চেষ্টা করেছিলেন তাঁর বশংবদ রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাসের মাধ্যমে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর, যা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের বিচক্ষণতার ফলে ভেস্তে যায়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট জয়ী হলেও বেগম জিয়া প্রায় পুরো পাঁচ বছরই দেশে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করে রাখেন এই অজুহাতে যে, তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা তাঁদের জোর করে নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া এটি কখনও মেনে নিতে পারছিলেন না যে, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী নন। ২০০১ সালে বেগম জিয়া জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে জোট করে নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। এবারও আবার পুরনো খেলার পুনরাবৃত্তি। প্রথমে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক একটি বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু করেন, যার মূল উদ্দেশ্যই ছিল কমিশন বাণিজ্য, অস্ত্র চোরাচালান আর দেশে জঙ্গীবাদের চাষে মদদ দেয়া। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অবসরের বয়স দু’বছর বাড়িয়ে তাঁর পছন্দসই একজনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানানোর ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে ফেলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর তীব্র আন্দোলনের মুখে তাও ভেস্তে যায়। আসে এক-এগারো। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে বেগম জিয়া তা মেনে নিতে পারেননি। পুরো পাঁচ বছর সংসদে তিনি মাত্র দশদিন উপস্থিত ছিলেন, আর দলীয় সংসদ সদস্যরা ছিলেন মাত্র পঁচাত্তর দিন, তাও সংসদ সদস্যের পদ রক্ষা করার জন্য। ২০১১ সালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়। এই মামলাটি রুজু করা হয়েছিল ২০০৫ সালে যখন বেগম জিয়া ক্ষমতায়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পর সংবিধানে ১৯৭২ সালের নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাটি পুনর্¯’াপিত হয়, যা বেগম জিয়া মানতে নারাজ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসে নেমে পড়ে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সন্ত্রাসে পেট্রোলবোমা নামের এক প্রাণঘাতী অস্ত্রের অভিষেক ঘটে। শতাধিক নিরীহ মানুষ এতে প্রাণ হারান আর গুরুতর আহত হয়ে হাজারের ওপর মানব সন্তান দেশের হাসপাতালগুলোর বার্ন ইউনিটে কাতরাতে থাকেন। দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় সেই সময়। এই সংঘাতময় পরিস্থিতির পুরোটাই পরিচালিত হয় লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়ার নির্দেশে। শেখ হাসিনা সাহস করে সেই নির্বাচন করে ফেললে বেগম জিয়ার ক্ষমতা দখলের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এক পর্যায়ে বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনেকটা নিমরাজি হয়েছিলেন, কিন্তু তারেক জিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে বেগম জিয়া আর বেশিদূর অগ্রসর হননি। তখন হতেই বেগম জিয়া ও তাঁর দল অনেকটা তারেক রহমানের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তি হলে বিএনপি আর জামায়াত মিলে পুনরায় দেশে আবার পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস চালু করেছে। এবার পুরো অপারেশনের দায়িত্ব তারেক জিয়াই নিয়েছেন বলে অনেকের ধারণা। তাঁর মা এখন অনেকটা সাইড লাইনে চলে গেছেন। নিজে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বর্তমানে তিনি আর রাখেন না। এটি এখন অনেকটা পরিষ্কার, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হতে দ্রুত একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী দলে পরিবর্তন হচ্ছে এবং তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করছে জামায়াত আর পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। কারণ একাত্তরে-পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার এটি মোক্ষম সময় বলে তারা মনে করছে। এক কথায় বিএনপি বর্তমানে জামায়াতের মধ্যে দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এবারের সন্ত্রাসে জামায়াত ছাড়াও তাদের সাথী হয়েছে বেশ কিছু সুশীল পরগাছা আর এক শ্রেণীর মিডিয়া। এই সন্ত্রাস হতে বাদ যাচ্ছে না আড়াই বছরের শিশু আর কলেজ ফেরত কিশোরী। যে কোন মূল্যে বেগম জিয়ার ক্ষমতায় যাওয়া চাই। কোমলমতি বালক-বালিকাদের মাধ্যমিক পরীক্ষাও বাদ গেল না। হরতাল ঘোষণা করে পনেরো লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বানচাল করার ঘোষণা ইতোমেধ্য দেয়া হয়েছে। শরিক দলের কর্নেল (অব) অলি বলে দিয়েছেন, পরীক্ষা পরে নেয়া যাবে, আগে ক্ষমতায় যাওয়াই চাই (তাঁর ভাষায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার)। সিনিয়র সাংবাদিক সাদেক খান বলেছেন, পেট্রোলবোমা আন্দোলনের অংশ। যা হচ্ছে তা হলো সমষ্টিগত শাস্তি। এটি চলবে। ড. ওসমান ফারুক নিউইয়র্কে বলেছেন, কতজন মারা গেল অথবা কত সম্পদ পুড়ল তা দেখার এখন সময় নেই। পূর্বে লিখেছিলাম, ‘যে কোন মূল্যে বেগম জিয়াকে বাঁচাতে হবে, কারণ তাঁর দলেই তিনি কিছুটা হলেও লিবারেল এবং দলকেও সেইভাবে গড়ে তুলতে পারেন।’ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাঁকে আর বাঁচানো গেল না। তিনি আর তাঁর দলকে তারেক রহমানই শেষ করে দিচ্ছেন, সঙ্গে আছেন এই সুশীলরা। সামনে আরও বড় কোন অঘটনও ঘটতে পারে। তা নিয়ে সরকারকে সাবধান হওয়া উচিত। দেশে গণতন্ত্র বিকাশের জন্য একাধিক সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক দল থাকার প্রয়োজন ছিল। তা না হলে দেশে বোকো হারাম আর আইএস-এর মতো চরম জঙ্গীবাদী দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে। তা হলে বাংলাদেশে বিদেশী হস্তক্ষেপ অনিবার্য। এটি এখন মোটামুটি পরিষ্কার যে, এই মুহূর্তে বিএনপি নিজেই নিজের অস্তিত্ব বিলোপ করার পথে। কারও কারও মতে, দলটি অগস্ত্যযাত্রা শুরু করেছে। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে যা যা করণীয় তা যেন তারা করেন। এখন দেশের মানুষ দেখতে চায় তাঁদের সেই নির্দেশ তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। ঘরে ডাকাত পড়লে সকলে মিলে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলে কোন লাভ নেই। এবার দেশকে বাঁচাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব চিরদিনের মতো বিলুপ্ত হয়ে পড়তে পারে। ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
×