ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চেলসি ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

চেলসি ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে

ইংলিশ লীগ কাপ, ঘটনাবহুল ম্যাচে হলুদ কার্ড দু’দলের ৯ ফুটবলারকে চেলসি ১-০ লিভারপুল (দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে জয়ী চেলসি) স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আগুনে উত্তাপ ছিল ১২০ মিনিট। ধুন্ধুমার এই লড়াই শেষে শেষ হাসি হেসেছে চেলসি। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইংলিশ লীগ কাপ (ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ) ফুটবলের ফাইনালে পৌঁছে গেছে দ্য ব্লুজরা। স্টামফোর্ড ব্রিজে ঘটনাবহুল ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের চতুর্থ মিনিটে (৯৪ মিনিট) সার্বিয়ান ডিফেন্ডার ব্রানিসøাভ ইভানোভিচের দুর্দান্ত হেডের গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করে চেলসি। এর আগে ২০ জানুয়ারি অ্যানফিল্ডে দু’দলের সেমির প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে চেলসির জয় ২-১ গোলে। এই জয়ে ক’দিন আগে এফএ কাপে তৃতীয় সারির দল ব্র্যাডফোর্ড সিটির কাছে নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নেয়ার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে ব্লুজদের। মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে আগামী ১ মার্চ ফাইনালে খেলবে চেলসি। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচে চেলসির প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পার কিংবা শেফিল্ড ইউনাইটেড। ম্যাচে শুরু থেকেই ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। সেই সঙ্গে ছিল শক্তি প্রদর্শনীও। যে কারণে দু’দলের নয়জন ফুটবলার দেখেন হলুদ কার্ড। এর মধ্যে স্বাগতিক চেলসির চারজন ও লিভারপুলের পাঁচজন। নির্ধারিত সময়ে দুটি দলই ভাল কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল পায়নি গোলরক্ষকদের দৃঢ়তায়। শেষ পর্যন্ত জোশে মরিনহোর দলকে ফাইনালে তুলে দেয় ইভানোভিচের দুর্দান্ত একটি হেড। অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে লাফিয়ে উঠে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার উইলিয়ানের ক্রসে হেড করে লিভারপুল গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সার্বিয়ার এই ডিফেন্ডার। গত ৩০ আগস্টের পর এই প্রথম চেলসির জার্সি গায়ে গোল পেলেন ইভানোভিচ। বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ইপিএলের শীর্ষে থাকা দলটির। এই জয়ে লিভারপুলের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকল চেলসি। চারবার লীগ কাপ জয়ী দলটির এবারের টার্গেট আসরের পঞ্চম শিরোপা। আর ২০১২ সালের পর ঘরোয়া কোন আসরের ফাইনালে যেতে পারেনি লিভারপুল। পরশুর ম্যাচ কয়েকটি কারণে বিতর্কিত হয়েছে। বিশেষ করে দিয়াগো কোস্তার কা- নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ বইয়ে চলেছে। ম্যাচের একপর্যায়ে চেলসির ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড কোস্তা লিভারপুলের দুই খেলোয়াড় এমরে কান ও মার্টিন স্কার্টেলের শরীর মাড়িয়ে দেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় কোস্তা ইচ্ছা করলেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। ইংলিশ ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। সত্য প্রমাণিত হলে শাস্তির খড়গ আসতে পারে কোস্তার জন্য। এমন অবস্থায় চেলসি কোচ জোশে মরিনহো পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিযুক্ত কোস্তার। তার মতে, কোস্তা নাকি ইচ্ছা করে এমন করেননি! ঘটনার পর মাঠেই লিভারপুলের খেলোয়াড়ের প্রতিবাদ জানান। রেফারির কাছে এ ঘটনায় কোস্তার লালকার্ডও দাবি করেছিলেন সবাই। কিন্তু রেফারি এ ব্যাপারে কিছুই করেননি। কিন্তু এমন কা-ে কোস্তার লালকার্ড প্রাপ্য ছিল বলে জোর দাবি লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের। কিন্তু মরিনহো বলেন, ওটা নিছক দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে স্কাই টেলিভিশনের ধারাভাষ্যকারদেরও একহাত নিয়েছেন পর্তুগিজ লৌহমানব। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ধারাভাষ্য শুনে নিশ্চয়ই এরই মধ্যে আপনারা একটা পক্ষ নিয়ে নিয়েছেন। আমার কথা হচ্ছে, কোস্তার বিরুদ্ধে
×