ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করুন

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

সন্ত্রাসীদের শক্ত  হাতে দমন করুন

সংসদ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশের সবাই অংশগ্রহণ করছেন, কিন্তু তা সহ্য করতে পারছেন শুধু একজন নেত্রী খালেদা জিয়া ও কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বিএনপি নেত্রীর আদৌ কোনদিন সুমতি হবে কি না, তা কেউ জানে না। তবে বিএনপির নেত্রীর কাছে অনুরোধ, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বাধ সাধবেন না, চলতে দিন। দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, দারিদ্র্যতা দূর হচ্ছে- এসব আপনাকে সহ্য করতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, দেশের বিভিন্নস্থানে দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত দমন করুন। সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করুন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন সরকারী দলের এনামুল হক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এই উজ্জ্বল ভবিষ্যত বর্তমান সরকার তথা জনগণ রচনা করেছে। কারণ জনগণের সহায়তা না থাকলে আমরা দেশকে এভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম না। তিনি বলেন, আমাদের দেশ কোনদিনই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ছিলাম না, এখনও নই। বরং বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনার দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ গরিব দেশ আর থাকবে না, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ২০১৮ সালের পরে বাংলাদেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না। দেশের উন্নয়ন সাধনে দেশের ১৬ কোটি জনগণ কাজ করে যাচ্ছে বলেই দারিদ্র্যতাকে দূর করতে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সবাই অংশগ্রহণ করছেন, শুধু একজন মহিলা বাধা দিচ্ছেন। তিনি একটি দলের নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই একজন মহিলা নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং কিছু সন্ত্রাসীরা তাতে বাধা দিচ্ছে। তারা দেশের অচিন্তনীয় ক্ষতি ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। ৬ বছর ধরে যে প্রবৃদ্ধির বৃত্তে বন্দী হয়ে আছি, কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে এবার ৭ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সুমতি আদৌ হবে কি না, তা তাঁর দলের নেতারাও জানেন না। তিনি বলেন, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ থেকে দারিদ্র্যতা দূর হয়ে যাচ্ছে- এসব খালেদা জিয়াকে সহ্য করতে হবে। তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানুষের নিশ্চয়তাকে একটু টলিয়ে দিয়েছে। শক্ত হাতে এদের দমন করে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে। বিএনপি নেত্রীর কাছে অনুরোধ, দেশের উন্নয়নে বাধ সাধবেন না, চলতে দেন। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, রাজপথে যেসব দুষ্কর্ম করা হচ্ছে এর সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করুন। সরকারী দলের এনামুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমাদের নির্বাচনী এলাকা বাঘমারায় জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। সেই সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদের জনপদ বাঘমারায় এখন বইছে শান্তির সুবাতাস, সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়ায় পুরো নির্বাচনী এলাকার চিত্রই পাল্টে গেছে। বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা রাজনীতি নয়, সন্ত্রাসী কর্মকা-। সরকারকে শক্ত হাতে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- দমন করতে হবে। ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লাহ বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়ারা ঘরে বসে হুকুম দিয়ে দেশের মানুষকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। দেশ যখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন উন্নয়নকে ব্যাঘাত ঘটাতে রাজাকার-আলশামস ও তাদের জঙ্গী মাতারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সন্ত্রাস-সহিংসতা বন্ধ না করলে অতিষ্ঠ জনগণ ঘেরাও করলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
×