ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেগম জিয়া অশান্তির রানী ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৫

বেগম জিয়া অশান্তির রানী ॥ মতিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৪ জানুয়ারি ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যাদের হায়া নাই, লজ্জা নাই, মিথ্যা কথা বলতে জিহবা কাঁপে না তাদের নিয়েই বিএনপি। মিথ্যাই এদের বেসাতি। এরা ইসলাম বিরোধী, এরা ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, এরা মোনাফেক ও শয়তানের দোসর। আর এদের নেত্রী বোমা মেরে শিশু হত্যা ও মানুষ দগ্ধ হওয়ার পরও আনন্দ খুঁজে পান। তাই এদের বিচার এখন আল্লাহই করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়া যেদিন প্রেস কনফারেন্স করে আগুন লাগানো, বোমাবাজির দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়েছিলেন, ঠিক তার পরদিনই ছাত্রদলের এক সোনার ছেলে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যায়। তিনি ২৪ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী বাজারে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে ওইসব কথা বলেন। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইসলামী সম্মেলন বিশ্ব এজতেমাতেও বোমা মারার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে শান্তি আছে, মানুষ কাজ করে খাচ্ছে, রাস্তাঘাট হচ্ছে, পদ্মা সেতু হচ্ছে। আর তারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারছে। ঈদে মিলাদুন্নবীতেও যারা আগুন দেয় তারা কিসের মুসলমান? ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বৈধ এবং তা গণতন্ত্রকে রক্ষা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্ব তা মেনে নিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে বিজয়ী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিরাই আজ বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট এবং সাবের হোসেন চৌধুরী আইসিইউর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই এ সরকারকে সবাই মেনে নিলেও তারা মেনে নিতে পারছেন না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অবৈধ হলে তার পরপরই স্থানীয় পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচন হালাল করলেন কিভাবে? আসলে তিনি মাছ খান না, মাছের ঝোল খান। তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন খালেদ মোশারফ ও জিয়াসহ ৪ সেনা কর্মকর্তা চিঠি লিখে তাদের পরিবারকে কাছে ডাকলেও একমাত্র বেগম জিয়াই জানজুয়ার ও পাকিস্তানীদের ক্যাম্প ত্যাগ করেন নাই। বরং উল্টো তিনি জিয়াকে লিখেছিলেন ‘এখানেই ভাল আছি’। তিনি বলেন, বেগম জিয়া একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হলেও স্বামী জিয়া হত্যার বিচার করেননি। কেবল তাই নয়, একদিনের জন্যও চট্টগ্রামে জিয়ার সেই মৃত্যুস্থল পর্যন্ত যাননি। গ্রাম-বাংলার প্রবাদ ‘মরুক জামাই, বাঁচুক ঝি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়ার কল্যাণে তার অনেক উন্নতি হয়েছে। এরশাদের শাসনামলে দুই বিঘা জমি ও ক্যান্টনমেন্টে বাড়ি পেয়েছেন। পুত্র তারেকসহ নিজের জন্য নিয়েছেন ভাতা। আর এখন জিয়ার জন্য তিনি একটু মিলাদও করেন না। তিনি আরও বলেন, তিনি জিডি করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এরপরও নিরাপত্তা দিয়েই ১৯ তারিখে তাকে জিয়ার মাজারে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানেও গেলেন না, অফিসে বসে কোন মিলাদও করলেন না। মতিয়া চৌধুরী বলেন, নিজের জানকে বাঁচালেও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকে জিয়া প্রহসনমূলক বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিলেন। কাজেই স্ত্রীর কাছ থেকে এখন তিনি কি পেতে পারেন। শেখ হাসিনা পরিবারের সন্তানেরা আজ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্ব-স্ব অবস্থানে অবদান রাখছে আর বেগম জিয়ার ছেলেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারসহ দুর্নীতির বরপুত্র হয়ে বিদেশে থাকা ফেরারি আসামি।
×