ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিপাকে শত শত বোরো চাষী

কলাপাড়ায় ইউরিয়া সারের চরম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

কলাপাড়ায় ইউরিয়া সারের চরম সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৯ জানুয়ারি ॥ কলাপাড়ায় শত শত বোরো চাষী ইউরিয়া সারের চরম সঙ্কটে পড়েছেন। কোথাও ইউরিয়া সার পাচ্ছেন না। এক পক্ষকাল ধরে সারের আকাল চলছে। ফলে রোপণ করা বোরোর ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তিন শতাধিক চাষী। তাঁরা ১৫ দিন ধরে সেখানকার সাব-ডিলারদের দোকানে সারের জন্য গিয়ে ফিরছেন খালি হাতে। সাব-ডিলাররা বলছেন মূল ডিলার সারের সরবরাহ না দেয়ায় এমন সঙ্কট হয়েছে। এক ফসল নির্ভর চাষীরা খাল-বিল কিংবা ডোবা-পুকুরে সংগৃহীত মিঠা পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে বোরোর আবাদ করে সার সঙ্কটে এখন পড়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়। সোমবার ব্যাপক খোঁজ-খবর নিয়ে সারের এমন চরম সঙ্কটের কথা জানা গেছে। নীলগঞ্জের পাখিমারা খালের দুই পাড়ে অন্তত তিন শ’ চাষী এ বছর বোরোর আবাদে নেমেছেন। অধিকাংশের বোরোর চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন সার প্রয়োগের সময়। কিন্তু এক ছটাক সারও জোটাতে পারছেন না। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক সুলতান গাজী জানান, গত বছর এক একর জমিতে বোরোর আবাদ করে ৫৬ মন ধান পেয়েছেন। ১১ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি করেছেন ৩৬ হাজার টাকা। লাভের আশায় এ বছর তিনি দেড় একর জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। রোপণ শেষ করেছেন ১০দিন আগে। এখন তার পাঁচ বস্তা সার প্রয়োজন। কৃষক মাসুম চৌধুরী জানান, তাঁর প্রয়োজন দুই বস্তা। কিন্তু ইউনিয়নের সাব-ডিলার পাখিমারা বাজারের সন্তোষ কর্মকারের দোকানে এক ছটাক সারও নেই। একই দশা হাবিব গাজী, রাজ্জাক কাজী, শিমুল মৃধা, দুলাল চৌধুরী, আবুল হোসেনসহ সকলের। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা, মজিদপুর, পূর্বসোনাতলা, পাখিমারা, ইসলামপুর, এলেমপুর গ্রামগুলোতে বোরা চাষীরা এমন দুর্ভোগে পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ বিসিআইসির মূল ডিলার সঠিকভাবে সার সরবরাহ করছে না। ফলে তাঁদের এখন এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাব-ডিলার সন্তোষ কর্মকার জানান, ১৫Ñ১৬দিন ধরে কোন সার নেই। টাকা জমা দিয়েছেন কিন্তু সার পাচ্ছেন না। তিনি এও জানান, এই মুহূর্তে তাঁর এক হাজার বস্তা সারের প্রয়োজন। কিন্তু দু-চারদিন পরে পাবেন মাত্র দুই শ’ বস্তা। তাঁর ভাষায়, “ যে সার পামু তাতে কৃষকের পানিও গরম অইবে না।” মাগুরায় নিহত বিজিবি সদস্যের পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ১৯ জানুয়ারি ॥ হরতালকারীদের হামলায় নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী রিপন হোসেনের পরিবারকে দশ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি বাড়ি সোমবার হস্তান্তর করা হয়েছে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী রিপন হোসেনের স্ত্রী শিলা আখতারের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেন বিজিবি যশোর রিজিয়নের কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। এ সময় বিজিবি কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক জাবেদ সুলতান, ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান, মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাড়ি পেয়ে রিপন হোসেনের পরিবার বিজিবি কর্র্তপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ২০১৩ সালের ২৬ নবেম্বর কুমিল্লা শহরের চৌমুহনীতে হরতাল চলাকালে ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য সিপাহী মোঃ রিপন হোসেন হরতাল সমর্থনকারীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীদের গুলি ও ককটেল নিক্ষেপে তিনি নিহত হন।
×