ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দীপিকার অন্যরকম উপহার

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

দীপিকার অন্যরকম উপহার

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন কলকাতায় তাঁর নতুন চলচ্চিত্রের শূটিংয়ে এসে এক অন্য রকম উপহার পেয়েছেন। উপহার পেয়ে তিনি যারপর নাই খুশি। জানা গেছে, গত শনিবার তিনি ইমতিয়াজ আলির ‘তমাশা’ চলচ্চিত্রের শূটিং করতে আসেন। শূটিং ছাড়াও কলকাতায় তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল নতুন এক চমক। শূটিংয়ের মাঝেই তাঁর ছবি দেয়া ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়। শনিবার রাতে কলকাতার জিপিওর সামনে শূটিং করার সময় তাঁর কাছে পৌঁছে দেয়া হয় ১২টি ডাকটিকেট। যেটা তিনি ইচ্ছে করলেই কাউকে উপহার দিতে পারেন। পাঁচ টাকা মূল্যের ওই ডাকটিকেটে চিঠিও পাঠানো যাবে। উপহার পেয়ে অনেকটাই চমকে যান দীপিকা। তবে অনেকটাই খুশি হোন। ‘তামাশা’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ইমতিয়াজ আলিকেও দেয়া হয় ইমতিয়াজের মুখের ছবি দেয়া ডাকটিকেট। ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত ‘তামাশা’ চলচ্চিত্রে দীপিকার বিপরীতে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। এক ভবঘুরের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আর দীপিকা থাকছেন কমিক্স-পাগল এক মেয়ের চরিত্রে। তবে ইন্টারনেটে ইতোমধ্যেই দীপিকা-রণবীরের শূটিংয়ের কিছু দৃশ্য ফাঁস হয়েছে। দীপিকার সাদা লেসের পোশাক আর মাথায় ফুলের মুকুট পরা এক ছবি তুমুল হইচই ফেলে দিয়েছে। যারাই এই ভিডিও দেখেছেন তাদের সবারই মতো, দীপিকা-রণবীরের বাস্তব জীবনে ব্রেকআপ হয়ে থাকলেও পর্দায় তাদের রসায়ন কিন্তু দেখার মতো। ব্রেকআপের পরেই তারা শূটিং করেছিলেন ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’তে। বক্স অফিসে সুপারহিট হওয়ার পরে আবার তাঁরা ফিরে আসছেন এই চলচ্চিত্রে। এটি মুক্তি পাবে ডিসেম্বরে। চোখ ধাঁধানো সুন্দর আর উচ্ছল হাসিমুখ বলিউড অভিনেত্রী দীপিকার। কিন্তু তার এই উচ্ছল হাসির পেছনেও রয়েছে কিছু বিষন্নতা। এবার সে বিষন্নতা নিয়েই প্রকাশ্যে কথা বললেন তিনি। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৫ জানুয়ারি মানসিক কর্মীদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে দীপিকা বিষন্নতা নিয়ে যে লড়াই করছিলেন সে প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী জানান, গত বছরের এক মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা। একদিন সে সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরে তার মধ্যে একটা বিষন্নতা কাজ করছিল, আর তার আগের দিন নাকি তিনি কাজ করতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি আরও জানান, তিনি ভেবেছিলেন চলচ্চিত্রের চরিত্রের মাঝে থাকলে হয়ত ভুলে থাকা যাবে কিন্তু তা হয়নি তার। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতো তার, যখন তখন ভেঙ্গে পড়তেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির দিকে, যখন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘রামলীলা’ চলচ্চিত্রের তারিখের জন্য প্রযোজকরা লম্বা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর মা উজালা মেয়ের এই অবসাদের কথা শুনে ব্যাঙ্গালোর থেকে মুম্বাই ছুটে এলেন এবং কথা বললেন তাঁর বান্ধবী মনোরোগ বিষেশজ্ঞ আন্না চ-ীর সঙ্গে। আন্না তাঁকে ওষুধ খারাব পরামর্শ দিলেন কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ ছিলেন। এই বিষন্নতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য দুই মাস পরিবারের সঙ্গে কাটান এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার অধ্যাপক বিক্রম প্যাটেল বলেন, দীপিকার বিষন্নতা নিয়ে কথা প্রকাশ্যে কথা বলা আসলেই প্রশংসনীয় ছিল।
×