ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চলতি মাসের শেষ দিকে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

চলতি মাসের শেষ দিকে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি, ঠা-া বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি নিয়ে আগমন ঘটেছে মাঘের। বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হয়ে উঠতে পারে। আকাশের মেঘলা অবস্থা এবং হালকা বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার রাতে রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে শিলাবৃষ্টি। শনিবার আকাশ ছিল মেঘলা। দিনের বেলাতেও বইতে থাকে ঠা-া বাতাস। মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হয়। ব্যাহত হয় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিজলী চমকিয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাত আড়াইটা থেকে রাজধানীর দক্ষিণ দিক থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে অনেক এলাকায় বিদ্যুত চলে যায়। রাজধানীর ধানম-ি, মগবাজার, ইস্কাটন, বসুন্ধরাসহ বেশকিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে যায় রাজধানীর অনেক এলাকার সড়ক। বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে গাছের পাতা ও ডালপালা রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক এলাকার রাস্তার আইল্যান্ডের মধ্যে থাকা সাইনবোর্ড হেলে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঘ মাসে শীত অনুভূত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটি শীতের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট। তাপমাত্রা বাড়লেও এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা দরকার যে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য কমছে। আর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য যতই কমবে, শীতের মাত্রাও ততই বাড়বে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এখনও রয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে জলীয়বাষ্প উপরে উঠতে পারছে না। ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ শুকানোর সুযোগ পাচ্ছে না। এসব কারণে শীত অনুভূত হবেই। চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে বয়ে যেতে পারে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মাঝারি ও তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং অন্যত্র ২ থেকে ৩টি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/ মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ওই মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদ-নদীর অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা আছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন বজ্রঝড় হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। মাঘের শুরুতেই তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় কাঁপছে দেশ। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মক ব্যাহত হয় শনিবার। মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ হলেও বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ, ঠা-া বাতাস, ঘন কুয়াশা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যের হ্রাসের কারণেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এমন কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শীতজনিত কারণে মৃত্যু ও নানা ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। ঘন কুয়াশায় নৌ ও সড়ক পথে যান চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সূর্যের মুখ দেখছে না দেশবাসী। সাময়িকভাবে বন্ধ থাকছে ধানের চাতালগুলো। ঘন কুয়াশায় উপরে উঠতে পারছে না জলীয়বাষ্প। শিশির ভেজা মাটি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকে আকাশ। এমন অবস্থা জানুয়ারির বাকি দিনগুলোতেও চলতে পারে।
×