ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এনজিওরা স্বেচ্ছাসেবা থেকে সরে এসেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

এনজিওরা স্বেচ্ছাসেবা থেকে সরে এসেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগে এনজিওগুলো স্বেচ্ছাসেবা দিত, এখন তারা সেখান থেকে সরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, দেশে ভলান্টারি সার্ভিস নেই, যা আছে তা এনজিও সার্ভিসে পরিণত হয়েছে। এনজিওগুলোর স্বেচ্ছাসেবা দেয়ার মনমানসিকতা এখন আর নেই। শনিবার রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে ভলান্টিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশের (ভিএবি) ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তবে অর্থমন্ত্রী আয়োজক সংগঠনটিকে আগে থেকে চেনেন এবং তারা যেসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ভিএবি আমেরিকাপ্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশী ও তাদের বন্ধু-বান্ধবদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমাজ সংযোগ কর্মসূচী পালনের মহান ব্রত নিয়ে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ১৫ বছর আগে। সময়ের পরিক্রমায় তা মহিরুহ হয়ে আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্য ব্যাংকিং খাতের প্রতিও আহ্বান জানান গবর্নর। গবর্নর আরও বলেন, ‘শীতার্তদের জন্য লাখ লাখ কম্বল নিয়ে ব্যাংকগুলো এগিয়ে এসেছে। রানা প্লাজার ঘটনায়ও প্রায় শত কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। আমরা দুঃসময়ে ব্যাংকগুলোকে একত্রিত করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণেও ২৯ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। এতে করে স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া লাখেরও বেশি গরিব ছেলে মেয়েদের স্কলারশিপ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ভিএবি তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়তে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রজেক্টর ও প্রিন্টার বিতরণ করছে। আমি ভিএবির এসব কার্যক্রমের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্য হালে অধিকতর সামাজিক দায়সম্পন্ন হয়ে ওঠা ব্যাংকিং খাতের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ভিএবিকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুদানের সম্মতিপত্র প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কাজে আমাদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ও প্রকৌশলী ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, গবর্নর সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তার পরিবর্তন করেছেন ড. আতিউর রহমান। তিনি দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন।’ শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে আমি কাজ করি। এই শিক্ষা না থাকলে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না। আশা করি ভিএবি বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে কাজ করে যাবে।’
×