স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ে সার্কিট হাউস সংলগ্ন গণপূর্ত বিভাগের অফিস চত্বরের ত্রিশ বছরের পুরনো কয়েকটি গাছ কেটে অবৈধভাবে কর্মচারী ইউনিয়নের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। গণপূর্ত বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কোন অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ কর্মচারীরা। গত শনিবার অফিস ছুটির দিনে লোক চক্ষুর অন্তরালে অফিস চত্বরের ৩০ বছরের পুরনো তিন লাখ টাকা মূল্যের কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে কর্মচারী ইউনিয়নের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এসব গাছকাটা এবং ভবন নির্মাণে গণপূর্ত বিভাগের শ্রমিক-কর্মচারী লীগ নেতারা জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সার্কিট হাউসের দেয়াল লাগোয়া কর্মচারী ইউনিয়নের এই ভবন নির্মিত হলে সার্কিট হাউসের সৌন্দর্য নষ্ট হবে । সরকারী ভবন নির্মাণের নীতিমালা ও নকশাবহির্ভূতও হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারী অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ দিকে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা জানান, পঞ্চগড় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি সাপেক্ষে তারা গাছ কেটে ভবন নির্মাণ করছেন। তারা জানান, কর্মচারী ইউনিয়নের অফিস কক্ষ নেই। তাই অফিসের ভেতরেই নির্বাহী প্রকৌশলীর পছন্দ অনুযায়ী এই জায়গাটিকে অফিস কক্ষের জন্য নির্বাচন করা হয়।
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, দেশের সকল গণপূর্তের অফিসে কর্মচারী ইউনিয়নের অফিস আছে। পঞ্চগড়ে নেই। তাই অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে গাছ কাটা হয়েছে। কর্মচারী ইউনিয়নের অফিস নির্মাণের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। অফিস চত্বরে কর্মচারী ইউনিয়নের ভবন নির্মাণের সরকারী কোন আইন নেই। পঞ্চগড়ে কর্মচারী ইউনিয়ন কিভাবে অফিস ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা ॥ কুয়াকাটায় মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৫ জানুয়ারি ॥ অবশেষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আলোচিত স্থাপনা আবাসিক হোটেল সি-কুইন, তাজ, সান ফ্লাওয়ার, স্বাদ রেস্তরাঁ ও বেড়িবাঁধের ভেতরে ব্যাংক মার্কেট প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার মামলার লিখিত চিঠি থানায় পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। একইভাবে গণপূর্ত বিভাগ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলীর ২০১৪ সালের ২ অক্টোবরের লিখিত নিষেধাজ্ঞা এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের নির্দেশ উপেক্ষা করে দ্বিতল এসব স্থাপনার সম্প্রসারণ কাজ করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে কয়েকবার নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মাণসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু এসব নির্দেশনা মানা হয়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: