ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিও আবেদনের সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

আইপিও আবেদনের সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের জন্য শেয়ারের মূল্য ছাড়াও কিছু বাড়তি টাকা জমা দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। শীঘ্রই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিও প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যয়ভার কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যেসব আইপিওর অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। আগামীতে যেসব আইপিও অনুমোদন পাবে সেগুলোর জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে। জানা গেছে, প্রতি আবেদনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ টাকা অতিরিক্ত জমা দিতে হবে। চাইলে এটি বিও হিসাব থেকেও কেটে নিতে পারবে স্টেকহোল্ডাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির উর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএসইসি। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কমিশন বৈঠকে আলাপ-আলোচনার পর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, এটি ডিএসইর পক্ষ থেকে ১০ টাকা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে বিএসইসি এটি পাঁচ টাকা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাস থেকে আর ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা নেয়া হবে না। পুরোপুরি ডিপি তথা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এ আবেদন জমা দিতে হবে। বর্তমানে নির্ধারিত ব্যাংক ও ডিপির যে কোন একটিতে আইপিওর আবেদন ও টাকা জমা দেয়া যায়। ডিপির মাধ্যমে আবেদনের বিষয়টি অবশ্য পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর হামিদ ফেব্রিকসের আইপিওর মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ার পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়। সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ায় আগামী এপ্রিল মাস থেকে ব্রোকারেজ (স্টেকহোল্ডার) হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেয়া হবে। এর আগে বিএসইসি নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন গ্রহণে ইচ্ছুক এবং যেসব হাউসের সফটওয়্যার হালনাগাদ আছে তাদের মাধ্যমে আবেদন জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
×