ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অফিস সহকারী বিমল চন্দ্র ভৌমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নং-১৮) দায়ের করেন। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চাকরি দেয়ার কথা বলে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। নাটোরের গুরুদাসপুর সদর ক্লিনিকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মনোয়ারা বেগমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে আনন্দ শিপইয়ার্ডের প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সহ ১০ উর্ধতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিকেল পর্যন্ত চলে। দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁরা হলেন এবি ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিএমডি ফারুক এম আহমেদ, একই শাখার এসভিপি ওয়াসিকা আফরোজী, এসভিপি সালমা আক্তার, ভিপি শামীম এ মোর্শেদ, ইভিপি আখতার হামিদ খান, এভিপি মঞ্জুর মফিজ, ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার ইভিপি চৌধুরী মঞ্জুর লিয়াকত, একই শাখার ইভিপি মাহবুবুজ্জামান, এসএভিপি কাজী আশরাফ আলী ও এভিপি মোঃ আল মামুন। এ ছাড়া গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (আইসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এইচএনএম শফিকুর রহমানকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে একাধিকবার আইসিএলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘ এক যুগ ধরে আইসিএল গ্রুপ তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তারা ২০০১ থেকে ২০১২ অর্থবছরের মোট হিসাব দুদকে দাখিল করেনি। শুধু প্রতারণার অভিযোগ আসার পর থেকে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে তাদের কী পরিমাণ দায় রয়েছে তার হিসাব দুদকে জমা দিয়েছে। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ আইসিএল গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণাপূর্বক ২৮৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিমাণ বেড়ে হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
×