ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দী মানুষ!

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দী মানুষ!

চিড়িয়াখানা শব্দটি শুনলেই কল্পনার চোখে ভেসে ওঠে খাঁচায় বন্দী হরেক জন্তু জানোয়ার। খাঁচার ভেতর এদের লম্ফ-জম্ফ, হাঁক-ডাক ঘুরে ঘুরে দেখছে এবং অভিভূত হচ্ছে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী নারী পুুরুষ। কিন্তু ব্যাপারটি যদি উল্টো হয়। খাঁচায় বন্দী মানুষ। চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র সব জন্তু জানোয়ার। তাহলে কেমন লাগবে? অদ্ভূত, তাই না? এমন এক বিচিত্র ব্যবস্থা করেছে চীনের চোঙকিঙ শহরের দ্য লেহে লেডু ওয়াইল্ডলাইফ ডু জু কর্তৃপক্ষ। দর্শকদের গাড়ির ওপর নির্মিত খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়। বাঘ, সিংহসহ হিংস্র জন্তু জানোয়ার চিড়িয়াখানায় থাকে মুক্ত। এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায় এরা। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খাইয়ে রাখে। ক্ষুধার্ত বাঘ সিংহ মানুষ দেখলে কি প্রতিক্রিয়া করে, কিভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে এ সর্ম্পকে সম্যক অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। খাঁচাগুলো অনেক শক্ত পোক্ত করে তৈরি করা হয়েছে দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য। খাঁচার দর্শকদের তাদের আঙুল পর্যন্ত ভেতরে রাখতে হয় নিরাপত্তার খাতিরে। খাঁচায় বন্দী মানুষ দেখে ক্ষুধার্ত জন্তু জানোয়ার তেড়ে আসে, হম্বি-তম্বি, তর্জন-গর্জন করতে থাকে। খাঁচায় ধাক্কাধাক্কি করে। আর দর্শকরা বাঘ সিংহসহ হিংস্র জন্তু জানোয়ারের হিংস্রতা, শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পদ্ধতিগুলো প্রাণভরে উপভোগ করে। এজন্য এই পদ্ধতিটা মানুষের কাছে এতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে আগামী তিন মাসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অদ্ভূত এই চিড়িয়াখানা সম্পর্কে এর মুখপাত্র চ্যান লিয়াঙ বলেন, ‘আমরা আমাদের দর্শকদের দেখাতে চাই কিভাবে হিংস্র জন্তু জানোয়ার বনে জঙ্গলে শিকারের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’ চিড়িয়াখানাটি ভ্রমণ করা তাও ঝেন নামক এক দর্শক তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি জীবনে এই প্রথম এমন অভিনব অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। মনে হলো আমরা জন্তু জানোয়ারদের দেখছি না, তারা আমাদেরকে দেখছে। এবং দেখছে লাঞ্চের খাবার হিসেবে।’ ওডিটি সেন্ট্রাল অবলম্বনে আরিফুর সবুজ
×