ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই পানি হারিয়েছে

বড়াল-গুমানী নদীর তলদেশ এখন ধানের মাঠ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

বড়াল-গুমানী নদীর তলদেশ এখন ধানের মাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১০ জানুয়ারি ॥ চাটমোহর উপজেলার বড়াল ও গুমানী নদীতে এখন বোরো আবাদ হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বড়াল-গুমানী নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। মথুরাপুর থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর। এছাড়া ত্রিমোহনী থেকে ছাইকেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। নাব্য সঙ্কটে ইতোমধ্যেই বড়ালের সেনগ্রাম-বড়ালব্রিজ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, নাটোরের জোনাইল থেকে চাটমোহরের নুরসাগর পর্যন্ত বড়ালের বুকে ক্রসবাঁধ থাকায় এ অংশ মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। তাই বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই নদী দুটি পানিশূন্য হওয়ায় এলাকার লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। নদীপাড়ের মানুষ পানির অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছে না। চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর নূরনগর ব্রিজে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, যতদূর চোখ যায় নদীর বুকে বোরো ধানের আবাদ। দীর্ঘকাল ধরে নদীতে পলি জমে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা হ্রাস পেতে পেতে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের কিছুদিনের মধ্যেই পানি কমে যাওয়ায় প্রতিবছরই নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে চাটমোহর উপজেলার মির্জাপুর বন্দর থেকে নৌপথে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ধান, গম, ডালসহ নানা ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। পানির অভাবে মির্জাপুর নৌবন্দরও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন মির্জাপুর থেকে সড়কপথে মালামাল নৌবাড়িয়া ঘাটে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে নৌপথে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা ভোগান্তি সহ্য করতে হয়। বড়াল নদীকে রক্ষার দাবিতে চাটমোহর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছে। বড়াল রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, উজানে ভারত কর্তৃক অসংখ্য বাঁধ নির্মাণ, নদী দখল, নদীতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও খননের অভাবে নদী নাব্য হারাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়ের উজানে দুর্গাপুর এলাকায় আত্রাই নদীর উপর রাবার ড্যাম স্থাপনের কারণে গুমানী নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এ এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
×