ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব

‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম, সে কখনও করে না বঞ্চনা’ একজন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের ২০ বছর যাবত শিখিয়েছি ‘সদা সত্য কথা বলবে।’ আর তাদের স্যার হিসেবে বর্তমান সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের দুটো কথা, কিছু সত্য লিখতে না পারলে নিজের বিবেকের কাছে চিরকাল দায়ী বা ঋণী থাকব। তাই তো বিবেকের কারফিউ ভেঙ্গে কিছু সত্য লেখার জন্য চিরসঙ্গী কলম ও দুটো কাগজের পাতা নিয়ে কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে লিখতে বসলাম। আসলে রিপোর্ট হলো তথ্যের নির্মোহ গাঁথুনি, যাতে থাকে না অনাহূত মন্তব্য, অপ্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ, অযাচিত পক্ষপাতিত্ব। এতে শুধুই থাকে তথ্যের সোজাসাপ্টা বর্ণনা। সে কারণে এটি হয়ত সুখ পাঠ্য ঠিক নয়। কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য খুবই দরকারি। ১ জানুয়ারি ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বৃহস্পতিবার। সারাবিশ্বের মতো এ দেশেও পালিত হলো বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ‘হ্যাপী নিউইয়ার’ এ বছর প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, এসএসসি ভোকেশনাল, ইবতেদায়ী, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনালে ৪৪৪৫২৩৭৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩২৫৩১৪৫০৬টি পাঠ্যবই গত বছরের ৩০ নবেম্বরের মধ্যেই সকল জেলা, উপজেলা, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানো হয়। তবে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে (মাদ্রাসা ও সমমনাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে) জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব দিবস।’ এ উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বাধীন বাংলায় রাজধানী, নগর, শহর, বন্দর, গ্রাম, নিভৃত পল্লী, দুর্গম পাহাড়ী এলাকা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চর, হাওড়, বাঁওড়সহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নতুন বই পেয়ে নিজ নিজ ঘরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফিরছে ভিশন-২০২১ বা ডিজিটাল বাংলাদেশের নিকট ভবিষ্যত ইনশাআল্লাহ যারা গড়বে সেই প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা। এ জন্য অবশ্যই অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া ধন্যবাদ জানাই শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীকে। বছরের শুরুতেই সরকার পাঠ্যবই প্রদান করায় এবং পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শহরের মতো গ্রামেও জিপিএ-৫ বা (অদম্য মেধাবী) বৃত্তি পাচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ইলেকট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ার কারণে অজপাড়া গাঁ থেকে প্রতিভাবান ক্ষুদে কৃতী শিক্ষার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সারাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব জানতে পারছে। ইতিহাসে পড়েছি নবাব শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেত কিন্তু বিনামূল্যে এ দেশে মাধ্যমিকে (সমমানসহ) পাঠ্যবই পাওয়া যেত কিনা জানি না। তাইতো এ মহান কর্মসূচীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাই লেখা শেষ করার আগে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও ধন্যবাদ না জানালে হয়ত ভুল করব বা অন্যায় করব। তাই ধন্যবাদ, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে কবি John Keats -এর কালজয়ী উক্তি লিখে শেষ করছি ‘Beauty is Truth , Truth is Beauty। কায়ছার আলী বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। [email protected]
×