ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নদী শুকিয়ে মরা খাল

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

নদী শুকিয়ে মরা খাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৮ জানুয়ারি ॥ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা তিস্তা নদীতে ড্রেসিং এবং খনন না করায় পলি জমে এখন নালায় পরিণত হয়েছে। ফলে শুকনো মৌসুমে নদীপথে এতদঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরাঞ্চলের মানুষ যেমন চরম বিপাকে পড়েছে। তেমনি নৌ শ্রমিক ও মৎস্যজীবীরা চরম বিপাকে পড়েছে। পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। উল্লেখ্য, এই উপজেলার তারাপুর, দহবন্দ, বেলকা, হরিপুর, চ-িপুর, কাপাশিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী দিয়ে ইতোপূর্বে ওই সমস্ত ইউনিয়নের ১শ’ ২০টি চরের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিল নৌপথ। কিন্তু পানিশূন্যতায় নদী শুকিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের পেশাদার নৌশ্রমিকরা কাজ হারিয়ে এখন বেকার। এছাড়া মাছপ্রধান এই এলাকায় ইতোপূর্বে তিস্তা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত এতদঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মৎস্যজীবী। কিন্তু নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ না থাকায় পেশাজীবী জেলেরাও এখন চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন। এরফলে এসব অঞ্চলে এখন প্রচ- মাছেরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কমপক্ষে দেড় হাজার নৌ-শ্রমিক ও জেলে আজ বেকার হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনলে হয়ত ওই সব শ্রমিক পুনরায় তাদের পেশায় জড়িয়ে পড়তে পারবে। এ জন্য সরকারের সুদৃষ্টি একান্ত কাম্য। কিশোরগঞ্জে ২২১ রাউন্ড গুলি ও পাঁচ বেয়নেট উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৮ জানুয়ারি ॥ জেলার পাকুন্দিয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের ২২১ রাউ- গুলি ও ৫টি বেয়নেট উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের রূপসা গ্রামে পতিত জমি খনন করে এসব উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রূপসা গ্রামের প্রয়াত দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুজ্জামান ও এরশাদউদ্দিনের বাড়ির সামনে পতিত জমি খননকালে শ্রমিকরা মাটির নিচে বেশ কয়েকটি গুলি দেখতে পায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মোট ২২১টি গুলি ও ৫টি বেয়নেট উদ্ধার করে। পাকুন্দিয়ার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে এসব গুলি ও বেয়নেট মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের। ৪ মার্চ খুবির পঞ্চম সমাবর্তন স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আগামী ৪ মার্চ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিশ্ববিদ্যালয়-২) লায়লা আরজুমান বানু স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুবি’র জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান।
×