ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ৩শ’ কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে ৩শ’ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে অবশেষে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোটের অরবোধের প্রথম দিনে কোন প্রভাবই পড়েনি বাজারে। উল্টো উভয় পুুঁজিবাজারেই সূচক ও লেনদেনের অগ্রগতি হয়েছে। টানা ১৩ কার্যদিবস পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বড়, মধ্য ও ছোট সব ধরনের কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে ডিএসইতে প্রায় ১ শতাংশ হারে সূচক বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে ৩১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১১৫ কোটি টাকা বা ৫৬ শতাংশ বেশি। আগের দিন ডিএসইতে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ডিএসইতে নতুন সফটওয়্যার চালু হয়। এদিন ডিএসইতে ১৩৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এরপর ব্রোকার হাউজগুলো ও বিনিয়োগকারীরা নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত না হওয়ায় লেনদেনে হোঁচট খায় পুঁজিবাজার। এরপর লেনদেন বাড়লেও ২০০ কোটির গি ছাড়াতে পারেনি। গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নেটিং সুবিধা (লেনদেনে সমন্বয়) অনুমোদন দেয়। এরপরের দিনই পুঁজিবাজারে মূল্য সূচকের বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়। তবে সোমবারেই রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচীকে ঘিরে অস্থিরতা থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একদিন পরই মঙ্গলবার আবার ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার। আর তাই আগামীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে গেলে পুঁজিবাজারে লেনদেনে গতি ফিরে আসবে। একইসঙ্গে ডিসেম্বর ক্লোজিং শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরও সক্রিয় আচরণ করবে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯১টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৮৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, ডেসকো, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, আরএসআরএম স্টিল, বেক্সিমকো ফার্মা, এমজেএলবিডি, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, অলটেক্স, স্যান্ডার্ড সিরামিক, আরএসআরএম স্টিল, হামিদ ফেব্রিক্স, বঙ্গজ, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, মতিন স্পিনিং, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল ও সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : নর্দার্ন জুটস, সমতা লেদার, এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, জুটস স্পিনার্স, আলহাজ টেক্সটাইল, ডিবিএইচ ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, দেশ গার্মেন্টস, প্রাইম লাইফ ও শ্যামপুর সুগার। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৪টির, কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, হামিদ ফেব্রিক্স, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার টেক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অগ্নি সিস্টেম, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, অলটেক্স ও গ্রামীণফোন।
×