ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাতাপুত্রের সম্মিলিত অভিযান ব্যর্থ হলো কেন?

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

মাতাপুত্রের সম্মিলিত অভিযান ব্যর্থ হলো কেন?

৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে সরকারের পতন ঘটানোর জন্য মাতাপুত্রের (বেগম জিয়া ও তারেক রহমান) সম্মিলিত অভিযানের শেষ পর্যন্ত কী হলো তা জানার জন্য ছয় তারিখে অতি ভোরেই ঢাকায় এক তরুণ সাংবাদিক বন্ধুকে টেলিফোন করেছিলাম। তিনি হেসে বললেন, ‘পাঁচ তারিখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেগম জিয়া বলেছিলেন, একটানা অবরোধ চলতে থাকবে। সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন অবরোধ চলবে কোথায়? ঢাকায়, না সারাদেশে? বেগম জিয়া বলেছেন সারাদেশে। সেই অবরোধের চিহ্ন সারাদেশে কোথাও নেই। ছয় তারিখে (মঙ্গলবার) ঢাকায় লোক চলাচল, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকভাবে চলছে। কেবল কয়েকটি লং রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’ রাজধানীর বাইরে অবস্থা কি জানতে চাইলে সাংবাদিক বন্ধু বললেন, স্বাভাবিক। চট্টগ্রামে হরতাল ডাকা হয়েছিল। হয়নি। বিএনপি নেতাদের সেখানে কোন পাত্তা পাওয়া যায়নি। রাজশাহীতে শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করেছিল। একা পেয়ে দু’জন কনস্টেবলকে পিটিয়েছে। এই হলো বিএনপির মহা আন্দোলনের পরিণতি। তবে এই লজ্জাকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়ার তারা একটা অজুহাত খুঁজে পাচ্ছেন। কাল বাদে পরশু অর্থাৎ নয় তারিখে বিশ্ব এজতেমা শুরু হচ্ছে। তার পবিত্রতা রক্ষার অজুহাতে বিএনপি হয়ত বলবে, আন্দোলন ও অবরোধ আপাতত স্থগিত রাখলাম। সাংবাদিক বন্ধুর কথা শুনে আশ্বস্ত হয়েছি। দেশটাকে আরেকটা সংঘাতের আবর্তে ফেলার জন্য বিএনপির এবারের মরিয়া হয়ে ওঠা চেষ্টাটাও ব্যর্থ হয়েছে। দেশ আরেকটা সংঘাত ও সঙ্কটের আবর্ত থেকে বেঁচে গেছে। আমি ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে লন্ডনে ফেরার মুখে বিএপির একশ্রেণীর নেতানেত্রীর মুখে একটা কথা শুনে ভয় পেয়েছিলাম। তাঁরা বলছিলেন, ছয় জানুয়ারির পর দেশে আর্মি ও বিএনপি ছাড়া আর কিছু থাকবে না। কথাটা ঢাকার বিদেশী কূটনীতিক মহলেও ছড়িয়ে গিয়েছিল। হয়ত তাদের কেউ কেউ কথাটা বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু ছয় তারিখে দেখা যাচ্ছে, দেশপ্রেমিক আর্মি ব্যারাকেই আছে। বিএনপি কোথাও নেই। বিএনপি বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে, দলটি রাজপথে আন্দোলনে শরিক হয়েছে, নির্বাচন করে কয়েক দফা ক্ষমতায় গিয়েছে; কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের চরিত্র অর্জন করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত বিএনপির চরিত্র সামরিক ছাউনিতে জন্ম নেয়া একটি চক্রান্তকারী দলের। চক্রান্ত করে একবার দু’বার তিনবারও ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু তারপর আর যাওয়া যায় না। চরিত্রটি জনগণের কাছে ধরা পড়ে যায়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বেগম খালেদা জিয়া দলটির নেতৃত্বে আসায় আশা করা গিয়েছিল দলটি তার নেতৃত্বে রাজনৈতিক চরিত্র অর্জন করবে। প্রথম দিকে এই আশা ফলবতীও হয়েছে। বেগম জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমেছেন। দলে রাজনৈতিক সহকর্মীদের পরামর্শে কান দিয়েছেন। নির্বাচন জিতে ক্ষমতায়ও গেছেন। বিএনপির তখনকার ভূমিকা দেখে মনে হয়েছিল দেশে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক দ্বিদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে যাচ্ছে। কিন্তু এই আশা বেশিদিন টেকেনি। জিয়া-পুত্র তারেক লাইক ফাদার লাইক সান। পিতার চাইতেও ক্রূরতা ও শঠতা নিয়ে রাজনীতিতে তার আবির্ভাব। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস। তারেক একটু লায়েক হয়ে বিএনপির ছত্রপতি হয়ে মায়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করতেই বিএনপির গণতন্ত্রায়ন বন্ধ হয়ে যায়। দলটির অবস্থা দাঁড়ায় পুনর্মূষিকো ভবঃ। গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে দলটি যেটুকু এগিয়েছিল, তা থেকে সম্পূর্ণ পিছিয়ে গিয়ে অপশক্তির সমর্থন-নির্ভর চক্রান্তকারী দল হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে তারেকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জামায়াতের সঙ্গে আত্মীয়তা পাতানো। দলের নেতৃত্ব থেকে মুক্তিযোদ্ধা অংশকে বিতাড়ন করা হয়। শোনা যায়, ভারতের দুর্ধর্ষ মাফিয়া সর্দার ইব্রাহিম দাউদের সঙ্গেও তারেকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ক্যান্টনমেন্টে বিএনপির জন্ম। এটি আবার ক্যান্টনমেন্টভিত্তিক দল হয়ে দাঁড়ায়। এক সময় বিএনপির সমর্থন ও শক্তির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়, একদিকে ক্যান্টনমেন্ট এবং অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী সন্ত্রাসী শক্তি। তারেক ভেবেছিলেন এই সমর্থন তাদের জন্য অব্যয় অক্ষয়। তা হয়নি। বিশ্বপরিস্থিতি বদলে গেছে। তা এই অর্ধশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে ধরা পড়েনি। মইন-ফখরুদ্দীন সরকারের পতনের পর সামরিক বাহিনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভূমিকা গ্রহণ করে। তারেকের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। তাকে এক গাদা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি শত দুর্বৃত্তপনার অভিযোগ কাঁধে নিয়ে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে জামিন নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। আন্তর্জাতিকভাবে তারেক রহমান এখন একজন কনভিকটেড ক্রিমিনাল। বিএনপির শক্তির ভিত্তি ছিল মস্ক এ্যান্ড মিলিটারি। মিলিটারি সরে গেছে, এখন বিএনপির একমাত্র নির্ভর জামায়াত ও মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর। জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন আর জনসমর্থনভিত্তিক আন্দোলন করতে পারে না। তাকে আন্দোলনের নামে মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিএনপির এই জামায়াতীনির্ভরতা যত বাড়ছে, ততই তার গণবিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। এই সত্যটা মাতাপুত্র কারোই হয়ত চোখে পড়ছে না। তাই প্রকৃত ইস্যুভিত্তিক কোন আন্দোলন গড়ার কথা না ভেবে তাদের বার বার সন্ত্রাস ও চক্রান্তের পথ ধরতে হয় এবং ব্যর্থ হতে হয়। গত বছর বেগম খালেদা জিয়া আশায় বুক বেঁধেছিলেন জামায়াত ও হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে তিনি ক্ষমতা দখল করবেন। একই সঙ্গে পুরনো অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে তিনি একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীকেও উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জনসমর্থনের অভাবে তা ব্যর্থ হয়। দেশব্যাপী ভয়াবহ অরাজকতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করেও তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। এরপর দূরদর্শী রাজনৈতিক নেত্রী হলে তিনি জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সম্পর্ক ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসতেন। বিদেশে বসে তাঁর পুত্র তারেক যে দুর্বৃত্তপনায় রত, তা থেকে তাকে নিবৃত্ত করতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ভুলত্রুটি জনগণের সামনে তুলে ধরে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতেন এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে জিতে শান্তিপূর্ণ পন্থায় আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করতেন। বিএনপি নেত্রী তা করেননি। পুত্রের পরামর্শে সন্ত্রাস ও চক্রান্তের পথ তিনি আঁকড়ে আছেন এবং চক্রান্তের পথেই সরকার উৎখাতের স্বপ্ন দেখছেন। এবার ৫ জানুয়ারিতেও তারা চক্রান্তের একটি নতুন জাল বুনেছিলেন। সরকার তা কঠোর অবস্থান নিয়ে ব্যর্থ করেছেন। অতীতের ভুল থেকে বেগম জিয়া কোন শিক্ষাই নেননি। তিনি এবারেও সামরিক বাহিনীকে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ এটা এখন সকলেই জানে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিসেনাদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীরও একটা গৌরবদীপ্ত ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ভার ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে। এত দীর্ঘদিন পর এই ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত করার একটাই উদ্দেশ্য, দেশের অসামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীকে আবার প্ররোচিত করার চেষ্টা। বেগম জিয়ার পুত্র বিদেশে বসে জাতির পিতা, জাতীয় স্বাধীনতার প্রত্যেকটি মূলমন্ত্রের বিরুদ্ধে অবমাননাকর প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে দেশে বসে মাতা তাতে সোৎসাহে প্রশ্রয় যোগাচ্ছেন। অন্য যে কোন গণতান্ত্রিক দেশেও জাতির পিতা এবং স্বাধীনতার মূল আদর্শগুলোর বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রচারণা চালানো হলে তা দেশদ্রোহমূলক অপরাধ বলে গণ্য হতো এবং অপরাধীকে আদালতের বিচারে কঠিন শাস্তি পেতে হতো। হাসিনা সরকারের উদারতায় শুধু বেগম জিয়া ও তারেক রহমান নন, দেশে আরও কিছু লোক রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কথাবার্তা বলে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তারা কোন শাস্তি পাচ্ছেন না। এটা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়। সম্প্রতি প্রায় তিন সপ্তাহ দেশে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াবার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমান সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসায় সকলেই মুখর। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, আওয়ামী লীগ সরকার সম্পর্কে এত প্রশংসা সত্ত্বেও এই সরকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে কোথায় যেন একটা গোপন ক্ষোভ বিরাজ করছে। এটা কেন তা আমি বুঝতে পারিনি। সকলের মুখেই আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর মন্ত্রী, আমলা ও এমপির দুর্নীতি, স্বজনতোষণ আর ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ। ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও দুর্নীতি সকলের মুখে মুখে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা কোথাও ভাল নয়। সর্বত্র অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং নেতৃত্বের কোন্দল। আওয়ামী লীগে নতুন রক্তের সঞ্চালন এবং নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। দলের সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যদি এদিকটা অবহেলা করেন তাহলে ভুল করবেন। আওয়ামী লীগ যদি ভবিষ্যতে বড় ধরনের নির্বাচন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য হবে। বিএনপি বা জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোন চ্যালেঞ্জই নয়। কিন্তু চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভেতরে। আমার ধারণা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও ঐক্য ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার উচিত দলের কিছু অভিজ্ঞ ও যোগ্য লোক নিয়ে দলের পুনর্গঠন সম্পর্কে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা। ভারতে যেমন নেহরু এক সময় গঠন করেছিলেন কামরাজ কমিশন। তাছাড়া প্রয়োজন মন্ত্রিসভায় একটা সুষ্ঠু রদবদল। এই রদবদল আর ঠেকিয়ে রাখা উচিত নয়। কিছু অদক্ষ ও ব্যর্থ মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোকদের অবিলম্বে যুক্ত করা দরকার। সাবেক মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দীপু মনিকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। দল পুনর্গঠনের জন্য আরও তরুণ নেতৃত্ব বাছাই করা প্রয়োজন। পঞ্চাশের দশকে আওয়ামী নেতা হিসেবে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী দল পুনর্গঠনের জন্য যেমন বাছাই করেছিলেন তখনকার তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে। এবার ৫ জানুয়ারিতে বিএনপির কর্মকা- প্রমাণ করেছে দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য কোন চ্যালেঞ্জ নয়। দেশকে বিকল্প নেতৃত্ব দেয়ার মতো মেধা, সাহস ও দূরদর্শিতা, এমনকি দেশপ্রেম এখন আর খালেদা জিয়ার মধ্যে নেই। দলের নেতৃত্বে তারেক রহমানের উঠে আসার কোন প্রশ্নই ওঠে না। শিক্ষা-দীক্ষা ও রাজনৈতিক শালীনতাবিহীন এক দুর্বৃত্ত দেশের রাজনীতির একদিন হাল ধরবে এ কথা চিন্তা করলেও শিহরিত হতে হয়। বিএনপির নীতি ও নেতৃত্ব পরিবর্তিত হওয়া দরকার। চক্রান্ত ও সন্ত্রাসের রাজনীতির পথ ত্যাগ করে দলটির গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরে আসা প্রয়োজন। বিএনপির প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি অছে, জনসমর্থনও আছে। এই দুইকে ভিত্তি করে দলটি যদি পুনর্গঠিত হয়, নীতি ও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটায় একমাত্র তাহলেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব হবে। নইলে মুসলিম লীগের মতো এই দলটিও একদিন ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। লন্ডন, ৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০১৫
×