ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শুঁটকি মাছে মেশানো হচ্ছে ডিডিটি

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৫

শুঁটকি মাছে মেশানো হচ্ছে ডিডিটি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দেশে অষ্টম ব্যবসাবাণিজ্যের শহর নীলফামারীর সৈয়দপুর। এখানে রয়েছে বৃহৎ শুঁটকি আড়ৎ। শুঁটকি মাছ পল্লীতে মানবদেহে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ডিডিটি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তরের আট জেলায় এখান থেকে শুঁটকিমাছ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শুঁটকিতে অবাধে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। রাসায়নিক দ্রব্য ডিডিটি পাউডার সহজলভ্য হওয়ায় এসব আড়তে পোকা দমনে এই পাউডার ব্যবহার করছে । সেই সাথে শুঁটকির স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন তরল রাসায়নিক ¯েপ্র ব্যবহার করে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। আর এসব ডিডিটি মিশ্রিত শুঁটকি আড়ৎ থেকে পাইকারি ক্রেতারা কিনে গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে বিক্রি করছে। ফলে নানা শ্রেণীপেশার সাধারণ ক্রেতার কাছে ছড়িয়ে পড়ছে ডিডিটি পাউডার ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এসব শুঁটকি। এতে মানুষজন চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ১/১১ সময় ভেজাল বিরোধী অভিযানে সৈয়দপুরে বেশকিছু শুঁটকির আড়তে অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ শুঁটকিতে ডিডিটি পাউডার মিশ্রণের দায়ে অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল। সে সময় লোকসানের ভয়ে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ রাখেন। বর্তমানে শুঁটকির আড়তে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবাধেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা বাণিজ্য। সৈয়দপুর শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের চান্দু এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান, ১৯৮৩ সালে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল (নিয়ামতপুর) এলাকায় গড়ে ওঠে শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীদের আড়ৎ। প্রথমাবস্থায় এখানে ১০ থেকে ১৫ আড়ৎদার ছিল; যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শুঁটকি মাছের বন্দর হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। এখানে স্থানীয় ফড়িয়া রয়েছে ৫৬ ও আড়ৎদার রয়েছে ১৫ জন। বাইরে থেকে এখানে ব্যবসায়ীরা আসেন প্রায় কয়েক হাজার। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার শুঁটকি মাছ কেনাবেচা হয়ে থাকে এখানে। মাছ আসে দেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং পাবনা থেকে। বর্তমানে এখানে মিঠাপানি ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছ কেনাবেচা হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, আগের তুলনায় শুঁটকি মাছের দাম অনেকটা বেশি। সৈয়দপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আলহাজ ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো শুঁটকি খেলে মানুষের কিডনি ড্যামেজ, চর্মসহ নানা খোসপাঁচড়া দেখা দিতে পারে। তাই এসব খাবার পরিহার করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
×