ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ॥ গলাচিপায় হঠাৎ ইলিশের ছড়াছড়ি

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২ জানুয়ারি ২০১৫

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ॥ গলাচিপায় হঠাৎ ইলিশের ছড়াছড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সঙ্গে তীব্র শীত। জনজীবনে অস্বস্তি বয়ে আনলেও উপকূলের সাগরপাড়ের জেলেদের জন্য তা আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। গত দু’দিন ধরে সাগরে দেদার ধরা পড়ছে বড় সাইজের ইলিশ। বিশেষ করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচরের দক্ষিণ ও পূর্বমুখী সাগরে বুধবার দুপুরের জোয়ার থেকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। জেলেরা জানিয়েছেন, প্রধানত শীতের এ সময়টাতে সাগরে বড় সাইজের ইলিশের দেখা খুব কম মেলে। সাধারণত জাটকা ধরা পড়ে। যে কারণে এ সময়টাতে প্রকৃত ইলিশ শিকারি জেলেরা সাগরে নামেন না। তাঁরা অনেক আগেই সাগর থেকে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে গেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সাগরের চিরচেনা সে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ধরা পড়তে শুরু করেছে বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ। জেলেরা এ জন্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জেলেরা আরও জানিয়েছেন, দু’দিন ধরে সাগরে জোয়ারের উচ্চতা এবং গতির তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে। যদিও তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ নেই। তারপরেও হঠাৎ করে ইলিশের ছড়াছড়িতে তারাও বিস্মিত। সোনারচরের জেলে জয়নাল সিকদার জানান, বুধবার শেষ রাতের জোয়ারে তিনি প্রায় দেড় শ’ পিস ইলিশ পেয়েছেন। দামও পেয়েছেন ভাল। প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। গত এক বছরেও তিনি এক জোয়ারে এত ইলিশ পাননি। একই চরের ফারুক মোল্লা জানান, তিনিও প্রায় ৮০টি ইলিশ পেয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ ইলিশের ওজন এক কেজির ওপরে। জেলে ইদ্রিস আকন জানান, তিনি পোয়া মাছ ধরেন অথচ পোয়া মাছের জালেই প্রায় ৭ মণ ইলিশ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবারেও সোনারচরের বহু জেলেই এ ধরনের প্রচুর ইলিশ মাছ পেয়েছেন। সাগর থেকে আনা ইলিশে সোনারচরে রীতিমতো স্তূপ জমে উঠেছে। সোনারচরে অবস্থানরত কয়েক পর্যটক জানান, তাঁরাও এত ইলিশ এক সঙ্গে খুব কম দেখেছেন। হাতিয়ায় ইটভাঁটিতে পুড়ছে কাঠ, বিপন্ন পরিবেশ ॥ ছড়াচ্ছে রোগব্যাধি সংবাদদাতা, হাতিয়া, নোয়াখালী ১ জানুয়ারি ॥ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে, আইনকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে, সম্পূর্ণ জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন জনপদ দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার অনেক ইটভাঁটি। সব ইটভাঁটি কয়লার পরিবর্তে কাঁচ কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করার ফলে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতির মুক্ত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। প্রায় ২৫শ’ বর্গমাইলের হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৯টি ব্রিকফিল্ড রয়েছে। সব ব্রিকফিল্ডে বিভিন্ন ধরনের কাঁচাগাছ পোড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন গাছ পোড়ানোর ফলে বিরান হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির গাছ। অবাধে ইটভাঁটি গড়ে ওঠার ফলে এর আশপাশের এলাকার শিশুদের হাঁপানি, জ্বর, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ইটভাঁটি এলাকায় গাছপালা, ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাখি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ছাই ঢাকা ঘাস খেয়ে গবাদিপশুর নানা রোগ দেখা দিয়েছে। পরিবেশবান্ধব কীটপতঙ্গ ধ্বংসের পথে। সব কিছু মিলে মনে হয় হাতিয়া উপজেলার প্রকৃতি যেন মানব সৃষ্ট দানবের হাতে।
×