অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতের পরিচালন মুনাফায় মিশ্র প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ ব্যাংকের উচ্চ মুনাফা হলেও ২০১৪ সালে এ চিত্র কিছুটা বদলেছে। বেশকিছু ব্যাংকের মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আবার কিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ব্যাংকে অলস টাকার ও শেয়ারবাজারে মন্দাসহ খেলাপি ঋণের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এর মাঝেও কিছু ব্যাংক ভাল ব্যবসা করেছে। ব্যাংকের এ মুনাফা প্রকৃত মুনাফা নয়। এ হিসাব থেকে প্রভিশন ও কর বাদ দিয়ে প্রকৃত মুনাফার হিসাব করা হয়। ঋণ শ্রেণীকরণের নতুন নীতিমালার কারণে ডিসেম্বর প্রান্তিক থেকে ব্যাংকগুলোর প্রভিশনের হার অনেক বাড়বে। তাতে এবার প্রকৃত মুনাফা কমতে পারে বলে ব্যাংকাররা মনে করছেন।
বিদায়ী বছরে ন্যাশনাল ব্যাংকের মুনাফা ৬৫০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮১১ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংকের মুনাফা বেড়ে হয়েছে ৬২৫ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৫২০ কোটি টাকা। সরকারের বিশেষায়িত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৩১ কোটি টাকা। নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে মধুমতি ব্যাংকের মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৫১.০৭ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিদায়ী বছরে ৮৮৫ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে, আগের বছর যা ছিল ৮৯০ কোটি টাকা। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৩শ’ কোটি টাকা। এনসিসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমেছে। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ৩৮৬ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গত বছর বেসিক ব্যাংকের ৯৮ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৭৮ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন ও কর বাদ দিয়ে নিট মুনাফার হিসাব হয়। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর ভিত্তিতে ব্যাংকের জন্য ঋণ শ্রেণীকরণের নতুন নীতিমালার আলোকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং করতে হবে। এতে করে ব্যাংকের নিট মুনাফায় বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। বেশিরভাগ ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: