ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার না ভোটে ফিলিস্তিনী প্রস্তাব নাকচ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১ জানুয়ারি ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার না ভোটে ফিলিস্তিনী প্রস্তাব নাকচ

ফিলিস্তিনে তিন বছরের মধ্যে ইসরাইলী দখলদারিত্ব অবসান চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে নাকচ হয়ে গেছে। প্রস্তাবটি পাস হতে হলে অন্তত নয় ভোট পাওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে এক ভোট কম পাওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। খবর বিবিসির। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার সংস্থাটির একটি খসড়া প্রস্তাবের পরিবর্তন উত্থাপন করেছিল জর্দান। এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিল ফিলিস্তিনসহ আরবের আরও ২২টি রাষ্ট্র। সংশোধিত প্রস্তাবে এক বছরের মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে, ২০১৭ সাল শেষ হওয়ার আগে ফিলিস্তিনী ভূখ-ে ইসরাইলী দখলদারিত্ব অবসান, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করতে এবং ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভোটাভুটিতে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য, লিথুয়ানিয়া, নাইজিরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রুয়ান্ডা। ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় জর্দান, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, লুক্সেমবার্গ, শাদ, চিলি ও আর্জেন্টিনা। ইসরাইল এই প্রস্তাবকে চমক সৃষ্টিকারী বলে এর নিন্দা জানিয়েছে। যদি এই প্রস্তাবের পক্ষে নয় ভোট পড়ত, তাহলে এটি গৃহীত হওয়া বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করত। জাতিসংঘের মার্কিন দূত সামান্থা পাওয়ার ভোটের পরে বলেছেন, আমরা আমাদের অবস্থানের কারণে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেইনি। আমরা এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছি কারণ, আলোচনার টেবিলে কঠিন ছাড় দেয়ার মাধ্যমে শান্তি আসবে। জর্দানের জাতিসংঘ দূত ও নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র আরব প্রতিনিধি দিনা কাওয়ার বলেছেন, এই ভোটের ফলে সংঘাত অবসানের চেষ্টা বন্ধ হবে না। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনী প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর বলেছেন, শান্তির দরজা খুলতে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল জোরাল ও আন্তরিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নিরাপত্তা পরিষদ আমাদের বার্তা শুনতে রাজি নয়।
×