ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবাহনীর পরাজয়ে শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

আবাহনীর পরাজয়ে শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হিসাবটা আগেই ছিল। আবাহনী লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব জিতলে আর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব হারলে তিন দলই যৌথভাবে শীর্ষে উঠবে। তবে দোলেশ্বর জিতলেও হারেনি প্রাইম ব্যাংক। তাই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের সুপার লীগে তৃতীয় রাউন্ড শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রাইম ব্যাংক। আর ২০ পয়েন্ট করে নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও নেট রানরেটে আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে থাকায় একধাপ ওপরে উঠে আছে দোলেশ্বর। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংলিশ ক্রিকেটার ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আবাহনীকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দোলেশ্বর। ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংক সৌম্য সরকারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে (সিএ) ৬ উইকেটে হারিয়েছে। আর বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। পয়েন্ট সমান ১৬ হওয়ার কারণে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে উভয় দলই। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও আর শিরোপা জিততে পারবে না এ দুটি দল। আবাহনীকে নিচে নামাল দোলেশ্বর শীর্ষস্থান নিয়ে সুপার লীগে উঠেছিল আবাহনী। তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়ল তারা। আগের ম্যাচে রূপগঞ্জের কাছে পরাজয়ের পর এবার দোলেশ্বরের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে আবাহনী। এর পেছনে মূল ভূমিকা ছিল মালানের। তিনি ১১২ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রানের একটি অপরাজেয় ইনিংস খেলে দোলেশ্বরকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। যদিও সুপার লীগে প্রথম মাঠে নামা আবাহনীর জাতীয় দলের পেসার আল আমিন হোসেন দারুণ বোলিং করে ৫১ রানে তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এরপরও ৪৩.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় দোলেশ্বর। এর আগে কুয়াশার কারণে বিলম্বে শুরু হওয়ায় ৪৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে আবাহনী। লিটন কুমারের ৪৪, রকিবুল হাসানের ৪১ ও অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের ৩৪ রান সত্ত্বেও ৯ উইকেটে ২০১ রান তুলতে পারে তারা। স্কোর ॥ আবাহনীÑ৪৫ ওভারে ২০১/৯ (লিটন ৪৪, রকিবুল ৪১, জিয়া ৩৪, নাসির ৩১; সাঞ্জামুল ২/৩২, মুক্তার ২/৩৩, ইলিয়াস ২/৫৭)। দোলেশ্বরÑ৪৩.১ ওভারে ২০৫/৫ (মালান ৮৭*, ইলিয়াস ৩৬*, রনি ২৪; আল আমিন ৪/৫১)। ফল ॥ প্রাইম দোলেশ্বর ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ডেভিড মালান (প্রাইম দোলেশ্বর)। সৌম্যের ব্যাটিং নৈপুণ্যে এককভাবে শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েই যাচ্ছেন তরুণ উদীয়মান ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। এবার ৬৯ বলে ৮ চারে ৬১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিজয়ী করেছেন তিনি প্রাইম ব্যাংককে। ফতুল্লায় ৪৫ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে কলাবাগান সিএ ৮ উইকেটে ১৮৮ রানের মামুলি সংগ্রহ গড়ে। মাহমুদুল হাসান সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। দুটি করে উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। পরে উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্যের সঙ্গে ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত্তি দেন সৈকত আলী। তিনি ৮০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করেন। ৩৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯১ রান তুলে ৬ উইকেটের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। ২২ পয়েন্ট নিয়ে এখন এককভাবে শীর্ষে তারা। স্কোর ॥ কলাবাগান সিএÑ৪৫ ওভারে ১৮৮/৮ (মাহমুদুল ৩৩, মেহেদী মিরাজ ৩১, নাজমুল ২৮, সাব্বির ২৫; তাসকিন ২/৪২, এনামুল ২/৪৬)। প্রাইম ব্যাংকÑ৩৭ ওভারে ১৯১/৪ (সৌম্য ৬১, সৈকত ৪৯, মাহমুদুল্লাহ ২৭; স্টিভেন্স ২/৩৮)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সৌম্য সরকার (প্রাইম ব্যাংক)। নাঈম ঝলকে জিতেও শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেল মোহামেডান অনেক যদি আর কিন্তুর সংমিশ্রণ ছিল। আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক উভয় দলই হারলে এবং মোহামেডান জিতলে সুপার লীগের শেষ পর্যন্ত শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকত মোহামেডান। কিন্তু আবাহনী হারলেও প্রাইম ব্যাংক জিতেছে। জিতেছে মোহামেডানও। তারা বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রূপগঞ্জকে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে নাঈম ইসলামের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। তিনি বল হাতে দুই উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু এরপরও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা রেস থেকে ছিটকে গেছে তারা এবং রূপগঞ্জও হেরে একই পরিস্থিতিতে পড়েছে। বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও আর শিরোপা জয়ের আশা নেই এ দুটি দলের। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ-৩৪ ওভারে ২০৪/৯ (জহুরুল ৪৭, মোশাররফ ৩৬, সাকিব ২৮, আবুল হাসান ২৫; নাঈম ২/২৭, মাশরাফি ২/৪১)। মোহামেডান-৩২ ওভারে ২০৮/৩ (নাঈম ৭৬*, সায়েম ৭৩, মিঠুন ২৯; কাপালি ১/৪, সাকিব ১/৩২)। ফল ॥ মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাঈম ইসলাম (মোহামেডান)।
×