ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

‘স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসকে আওয়ামী লীগ ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে’- সম্প্রতি এসব কথাবার্তা বিএনপি বলেই যাচ্ছেন। তারা এও বলছে, বিএনপির মধ্যেই বেশিসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা। আসলে এ কথাটি যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে, বিএনপি স্লোগান দিয়ে- ‘জয় বাংলা’, ’জয় বঙ্গবন্ধু’ বলছে না কেন? যারা মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করে, বলব- তারা ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ না বলে ভীরু“ও কাপুরুষের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালী এই দুই সেøাগান দিয়ে যুদ্ধ করেছিল। ঘরে ঘরে তখন সেøাগান ছিল- ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব-শেখ মুজিব’। তাহলে বিএনপির মিছিল থেকে এসব সেøাগান দেয়া হচ্ছে না কেন? কেনই বা তারা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এর নামের আগে ‘মরহুম’ শেখ মুজিবুর রহমান বলছেন। তাকে জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু বললেই বুঝব তাদের দলে মুক্তিযোদ্ধা আছে। সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধারা ‘শেখ মুজিবুর রহমান’-এর নামের আগে জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু বলেন- একথা কে না জানে। শুধু তাই নয়, ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগান এখনও সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে তোলপাড় জাগায়। বিএনপি কী পারবেন, ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগান দিতে? তাহলে বাংলা মানুষ দলে দলে আপনাদের পাশে হয়ত দাঁড়াতেও পারে, নয়তো নয়। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। বিলম্বে বেতন ভাতা আর নয় দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারী তথা এমপিওভুক্ত। অথচ এই এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাু সবচেয়ে অবহেলিত ও বেতনবৈষম্যের শিকার। উন্নতদেশগুলোতে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সবচেয়ে বেশি কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন সরকারী অফিসের একজন পিয়নের চেয়েও কম। যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা খুবই কষ্টকর। শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসের ৭ তারিখে পাওয়ার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বিলম্ব করে দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, নভেম্বর/২০১৪ মাসের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারী অংশের টাকার চেক ছাড় দেয়া হয় ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে এবং বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ সোনালী ব্যাংক শাখা কর্তৃপক্ষ সরকারী এ নির্দেশ অমান্য করে সরকারের বেঁধে দেয়া সময়মীমার ৪-৫ দিন পর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করে। প্রতিমাসেই এমনটি হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি খুবই কম। তারপরও যদি সময়মতো পাওয়া না যায় তাহলে তারা কীভাবে দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করবেন? বিষয়টি নিয়ে সমাজের বিবেকবানরা একটু ভাবুন তো! সুতরাং সবিনয়ে আবেদন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করাসহ সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য বন্ধ করা হোক। ভুক্তভোগী এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষেÑ মোঃ মাসুদ হোসেন কুমারখালী, কুষ্টিয়া। রবিবার কীভাবে রোববার হলো! আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি ও পড়ে আসছি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনটি হচ্ছে রবিবার। কিন্তু আজকাল বেশকিছু পত্র-পত্রিকা, প্রচার ও গণমাধ্যম, পাঠ্যপুস্তকে রবিবারের স্থলে লেখা ও বলা হচ্ছে রোববার। প্রশ্ন হচ্ছে কোনটি সঠিক রবিবার নাকি রোববার? নাকি দুটিই সঠিক! আমার জানা মতেÑ এটি সাধু ও চলিত ভাষা রীতির কোন বিষয় নয়। আমাদের পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতে কিন্তু এখনও রবিবার বলা হয় বা লেখা হয়। তাহলে আমাদের দেশে কেন বানানে ভিন্নরীতি। এমন কোন মহত ব্যক্তি আছেন কী এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেবেন? এই বিষয়টির স্বচ্ছ ধারণা পেলে আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবেন এবং সঠিক বিষয়টি জানতে পারবেন। বিশেষ করে ভবিষ্যত প্রজন্মের কোমলমতি শিশুরা সঠিক বিষয়টি জানতে ও বুঝতে পারবে। মোঃ মোশতাক মেহেদী কুষ্টিয়া। পানি সঙ্কটে ওয়ারী দীর্ঘদিন থেকে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে খাবার পানির সঙ্কট রয়েছে। শুধু ওয়ারীতে পানি সঙ্কট নয়, দয়াগঞ্জ মেথরপট্টিতে পানি নেই। সকাল হলেই ওয়ারীতে কলসি, বালতি, ড্রাম, পানিরপাত্র নিয়ে এলাকাবাসীকে পানি সংগ্রহের জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। মানবিক দিক বিবেচনা করে এলাকার অনেক বিত্তশালী ও সমাজসেবক ঘরের পানির পাইপ রাস্তায় দিয়ে অসহায় মানুষের পানি দিতে দেখা যায়। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওয়ারীতে পানি সঙ্কট দূর করবেন এই প্রত্যাশা করি। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আপোস নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে যখন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা করছে তখন থেকে ফটিকছড়িসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা, বাড়িঘরে আগুন, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশ হত্যা এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, স্কুল-কলেজে আগুন, কোটি কোটি টাকার সরকারী গাছ কেটে রাস্তা অবরোধসহ জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে যা ’৭১ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। তার কোন বিচার হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের কাছে দেশবাসীর অনুরোধ কোন অবস্থায় তাদের সঙ্গে আপোস না করা হয়। এবং সেই সঙ্গে আইন সংগঠন করে এই ফ্যাসিবাদী জঙ্গীবাদী ইসলামবিরোধী জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হক। এ মোজাম্মেল হক কাদের ঈশ্বরদী। বিষয় হিসেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বিএনপি ক্ষমতায় এলেই মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়। যা অতীতে আমরা দেখেছি পাঠ্য পুস্তকে। জাতির জনক বঙ্গযন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তারা কখনও বলে না ‘বঙ্গবন্ধু’। তারা মানে না ‘জয় বাংলা’ সেøাগান। তারা ক্ষমতায় এলেই-মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রের উচ্চক্ষমতায় বসে যায়Ñ আলবদর, রাজাকার, আল-শামসরাই। কেউ যাতে আর কোন দিন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে এজন্য প্রথমে চাই কঠোরতর আইন। নতুন প্রজন্মকে যাতে আর কোন দিন বিভ্রান্ত করতে না পারে এজন্য পাঠ্য পুস্তকে শুধু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নয়, মুক্তিযুদ্ধের ওপর চাই আলাদা একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। এটি স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক রাখতে হবে। এ বইয়ে যা যা রাখতে হবে তা হলো- ১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। ২. ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন। ৩. আগরতলা ষড়যন্ত্রের মিথ্যা মামলা। ৪. ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলন এবং ডাকসু’র ভিপি তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থান ও আয়ুব শাহীর পতন। ৫. ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিজয়। ৬. ১৯৭১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের অসহযোগ আন্দোলন। ৭. ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ। ৮. স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন এবং ছাত্র লীগের ৪ নেতা- আসম আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখনের অবদান। ৯. ২৫ মার্চ (১৯৭১) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা। ১০. পরবর্তীতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রমন ও হত্যালীলার নির্মম কাহিনী। ১১. মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের কাহিনী। ১২. কারা কারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের তালিকা। ১৩. মুক্তিযুদ্ধের গান-জয় বাংলা বাংলার জয়, আয় বাঙালী মুক্তিসেনা বাংলার মান বাঁচাই, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, মুজিব বাইয়া যাওরে, সালাম সালাম হাজার সালাম, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে, তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর- ইত্যাদি গানগুলোও রাখতে হবে ওই পাঠ্য পুস্তক বইয়ে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ চাই। আঃ হামিদ খেজুরবাগান, ঢাকা।
×