ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুনামগঞ্জে পেরুয়া খেয়াঘাট বধ্যভূমির স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

সুনামগঞ্জে পেরুয়া খেয়াঘাট বধ্যভূমির স্বীকৃতি দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২৭ ডিসেম্বর ॥ ৪৩ বছর পরও রাজাকার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের স্থান পেরুয়া খেয়াঘাটটি চিহ্নিত করা যায়নি। আজও গণহত্যার স্থানটি চিহ্নিত করে বধ্যভূমির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অথবা শহীদদের স্মরণে নির্মিত করা হয়নি স্মৃতিসৌধ। মহান স্বাধীনতার এত বছর পরও অধরা রয়ে গেছে শহীদ সন্তান ও তাদের স্বজনদের দাবি। রাজাকারদের সে দিনের সেই নির্যাতনের কথা ৪৩ বছর পর স্মরণ করতেও চান না স্বজনরা। কারণ এখনও সে দিনের নির্যাতনকারী ও তার বংশধররাই এ এলাকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি, মন্ত্রী-এমপিদের কাছের মানুষ। সর্বদলীয় নেতা বলে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ইতোমধ্যে যারাই এদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তারাই নানাভাবে মামলা-হামলার স্বীকার হয়েছে। তারা হয় দেশ ছেড়েছে, না হয় ভিটেমাটি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আপোস করেছে। এই ভয়ে নিজের চেখের সামনে লাশের পর লাশ দেখেছেন, তাঁরা আজও নির্বাক। খালেক রাজাকার ’৭০-এর নির্বাচনে পিডিপির প্রার্থী হয়েছিল। আজ তার ছেলে প্রদীপ মনির স্থানীয় চড়নারচর ইউপি চেয়ারম্যান। তার ভাই আবুল হাসিম রাজাকার সাবেক হুইপ ফজলুল হক আসপিয়া ও বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠজন বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমান যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট শিশির মুনির এই পরিবারের সদস্য। ’৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের নির্যাতন থেকে বেঁচে যাওয়া কিশোর শৈলেন চন্দ্র রায় জানালেন, কুখ্যাত খালেক রাজাকারের বাহিনী সে দিন তাঁর বাবাসহ তাঁদের পরিবারের ৬ সদস্যকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। ভাগ্য সহায় থাকায় তিনি ও তাঁর ভাই হরেন্দ্র রায় সে দিন বেঁচে যান। খুমেকে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর কিশোরী কন্যাকে এক চিকিৎসক ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোমবার চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযোগে জানা যায়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে নগরীর দৌলতপুরের জনৈক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই রোগীর কিশোরী কন্যা রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে তাঁর বাবার কাছে ছিলেন। রোগীর অবস্থা সম্পর্কে কথা বলার জন্য মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার (সঙ্গত কারণে নাম প্রকাশ করা হয়নি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তবে এ ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। স্থানীয় কতিপয় যুবক কৌশলে ওই মেয়েটিকে ওই চিকিৎসকের (সহকারী রেজিস্ট্রার) কক্ষে ঢুকিয়ে দিয়ে এ অপবাদ ছড়ায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা ওই কিশোরীকে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ওসিসিতে ভর্তি করিয়েছি। তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
×